পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০ 

আছে। সাহেব কহিলেন কি নিবেদন। রাজা মুরসদাবাদের বৃত্তান্ত সমস্ত জ্ঞাত করাইলেন আর কহিলেন এ রাজ্য আপনারা রক্ষা না করিলে যাবদীয় লোক অত্যন্ত ব্যামোহ পায় এবং জবন অধিকারী থাকিলে সকল দেশ নষ্ট হয় এই কারণ নবাবের প্রধান ২ পাত্র মিত্রগণ আপনকার নিকটে আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন। সকল বৃত্তান্ত সাহেব শ্রবণ করিয়া আশ্বাস দিয়া কহিলেন আমি এ সংবাদ বিলাতে লিখি সেখানকার আজ্ঞা আনিয়া পশ্চাৎ যুদ্ধ করিয়া এ দেশ করতলে আনিয়া সকল মনুষ্যকে পরম সুখে রাখিব তুমি এই সমাচার নবাবের পাত্র মিত্রগণকে লিখহ। এবং যথেষ্ট আশ্বাস করিয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে বিদায় করিয়া সাহেব সকল বৃত্তান্ত বিলাতে লিখিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় শিবনিবাসের বাটীতে উপস্থিত হইয়া সকল বিস্তারিত নবাব সাহেবের প্রধান ২ পাত্রকে জ্ঞাত করাইলেন সকলে শ্রবণ করিয়া হৃষ্ট হইলেন॥

 দৈবের ঘটনা ক্রমে নবাবের বিপদ উপস্থিত হইল তাহার বৃত্তান্ত এই॥

 ইঙ্গরাজের বানিজ্যের কোঠি অনেক গ্রামে ছিল যে জিনিষের যে রাজকর নিয়ম ছিল সেই মত নবাব সাহেব পাইতেন। নবাব স্রাজেরদৌলা অন্তঃকরণে করিলেন ইঙ্গরাজের ব্যাপার বানিজ্য অতি বিস্তর করিতে লাগিলেন অতএব আমি এখন আধিক রাজকর লইব ইহাই মনোমধ্যে বিবেচনা করিয়া প্রধান ২ পাত্রগণকে