পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৫৪

এমত লিখন যদি আপনি লিখেন আর কোঠির সাহেব রাজবল্লভকে ত্যাগ না করেন তবেই বিবাদ উপস্থিত হইবেক তাহাতে যে রূপ কার্য্য করিতে আজ্ঞা করেন সেই মত কার্য্য করি। নবাব শুনিয়া অধিক ক্রোধ করিয়া কহিলেন এখনি কোঠির সাহেবকে লিখহ। পরে মহারাজ মহেন্দ্র মুনসিলোককে পত্র লিখিতে আজ্ঞা করিয়া দিলেন পত্রের বিবরণ এই।

 আত্মমঙ্গল সংবাদ লিখিয়া লিখিলেন আমার চাকর রাজা রাজবল্লত ও রাজা কৃষ্ণ দাস এখান হইতে পলায়ন করিয়া আপনকার নিকটে রহিয়াছে অতএব ভাইজী তাহারদিগের দুই জনকে বন্ধন করিয়া শীঘ্র আমার নিকট পাঠাইবেন ইহাতে কদাচ অন্য মত করিবেন না। এই মত পত্র লিখিয়া কলিকাতায় পাঠাইলেন। কোঠির বড় সাহেব লিপি পাইয়া আপন প্রধান২ পাত্র মিত্র গণকে আহ্বান করিয়া পত্র দেখাইলেন। চাকরেরা পত্র জ্ঞাত হইয়া সাহেবকে পত্রের অর্থ জ্ঞাত করাইলেন পত্রের অর্থ শুনিয়া সাহেব হাস্য করিয়া আত্ম চাকরকে আজ্ঞা করিলেন পত্রের উত্তর লিখহ। নবাব সাহেবকে কলিকাতার কোঠির বড় সাহেব উত্তর লিখিলেন তাহার বিবরণ এই।

 আত্মমঙ্গল সমাচার লিখিয়া লিখিলেন ভাই সাহেবের এক পত্র পাইয়া পরম হৃষ্ট হইয়া সমাচার জ্ঞাত হইলাম। আপনকার চাকর রাজা রাজবল্লভ ও রাজা কৃষ্ণ দাস দুই জন পলায়ন করিয়া আমার শরণাপন্ন হই