পাতা:মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং - রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭০

সকল কথার যোজনকর্ত্তা আমি যদি নবাব স্রাজেরদৌলা কিঞ্চিৎ সন্ধান পায় তবে আমার জাতি প্রাণ রাখিবেক না ইহাতে সর্ব্বদা ব্যস্ত থাকেন। পরে পাত্র মুরসদাবাদহইতে মহারাজার নিকটে উপস্থিত হইয়া সমস্ত নিবেদন করিলেন। মহারাজ জ্ঞাত হইয়া পাত্রকে আজ্ঞা করিলেন তুমি অদ্যই কলিকাতায় প্রস্থান কর বিস্তারিত সমাচার সাহেবের নিকটে নিবেদন করিয়া শীঘ্র যাহাতে নবাব নিপাত হয় তাহার চেষ্টা পাও গিয়া। পাত্র রাজাজ্ঞানুসারে কলিকাতায় আসিয়া সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া আনুপূর্ব্বক সমস্ত নিবেদন করিলেন। সাহেব তুষ্ট হইয়া রাজ পাত্রকে প্রসাদ দ্রব্য দিয়া যথেষ্ট সম্মান করিয়া বিদায় করিলেন। তখন কালীপ্রসাদ সিংহ কিঞ্চিৎ গৌণে বাটী প্রস্থান করিল। সাহেব আপনার যাবদীয় সৈন্যকে আজ্ঞা করিলেন তোমরা সকলে সুসজ্জ করিয়া প্রস্তুত হও আমি কল্য নবাব স্রাজেরদৌলার সাহিত সমর করিতে যাইব অজ্ঞামাত্রে সকল সৈন্য রণ সজ্জা করিয়া প্রস্তুত হইল। সাহেব দেখিলেন সকল সৈন্য প্রস্তুত তখন শুভক্ষণে সাহেব গমন করিলেন। নানা প্রকার বাদ্য বাজিতে লাগিল বাদ্যের ধ্বনিতে এবং সৈন্যের অপূর্ব্ব সজ্জা দেখিয়া সকল লোক চমৎকৃত হইয়া সকলেই জয় ২ ধ্বনি করিতে প্রবর্ত্ত হইল এবং যাত্রিক দ্রব্য সকল সম্মুখে রাখিয়া গ্রামের মানুষেরা মঙ্গল ধ্বনি করিতে লাগিল। সাহেব হাস্য করিয়া আপন সেনাপতিকে আজ্ঞা করিয়া দিলেন