পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত Y თა দণ্ডায়মান হইয়া এদিকে ওদিকে দেখিতে লাগিলেন । সম্মুখে দেখিলেন, প্রায় শত হস্ত পরিমাণ স্থানে বৃক্ষমাত্র নাই, পরে পুনরায় বৃক্ষশ্রেণী রহিয়াছে। এই শ হ হস্ত কিরূপে যাওয়া যায় ? পার্শ্বে দেখিলেন, যাইবার কোন উপায় নাই, নীচে দেখিলেন, অনেক দুর আসিয়াছেন, পুনরায় নীচে যাইয়া অন্ত পথ অবলম্বন করিলে ছৰ্গে আসিবার পূর্বেই প্রাতঃকাল হইতে পারে। শিবাজী ক্ষণেক নি:শব্দে দণ্ডায়মান রছিলেন, পরে বাল্যকালের মুহৃদ বিশ্বাসী মাউলী যোদ্ধা তরজী মালক্রকে ডাকাইলেন, দুই জনে সেই বৃক্ষের অন্তরালে দণ্ডায়মান হুইয়া ক্ষণেক অতি মৃদুস্বরে পরামর্শ করিতে লাগিলেন । ক্ষণেক পর তন্নজী চলিয়া যাইল, শিবজী অপেক্ষ করিতে লাগিলেন, তাহীর সমস্ত সৈন্ত নিঃশব্দে অপেক্ষা করিতে লাগিল । অৰ্দ্ধ দণ্ডের মধ্যে তন্নঞ্জী ফিরিয়া আসিল । শিবঙ্গীর নিকট আলিয়া অতি যুদ্ধস্বরে কি কহিল, শিবাজী ক্ষণমাত্র চিস্তা করিয়া বলিলেন,—তাছাই হউক, অন্ত উপায় নাই। বৃষ্টির জল অবতরণে এক স্থান ধৌত ও ক্ষত হইয়া প্রণালীর স্থায় হইয়াছিল। দুই পাশ্ব উচ্চ, মধ্যস্থল গভীর, সেই প্রণালী দিয়া বুকে হাটিয়া যাইলে সম্ভবত: দুই পার্থে উচ্চ পাড় থাকায় শত্রুরা দেখিতে পাইবে না, এই পরামর্শ স্থির হইল। সমস্ত লৈষ্ঠ ধীরে ধীরে সেই প্রণালীর মধ্য দিয়া পৰ্ব্বত আরোহণ করিতে লাগিল । শত শত লিশfখণ্ডের উপর দিয়া নিস্তব্ধ অন্ধকার রজণীতে সচত্র সেনা নিঃশব্দে পৰ্ব্বত আরোহণ করিতে লাগিল। অচিরাং উপরিস্থ বৃক্ষশ্রেণীর মধ্যে যাইয়া প্রবেশ করিল, শিৰঞ্জী মনে মনে ওৰাণীকে ধগুবাদ করিলেন ।