পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত > ք : সেই দিকে ধাবমান হইল, এ দিকে প্রাচীরোপরি যে আলোক জলিতেছিল, তাহ নিবিয়া যাইল । তখন শিবলী বলিলেন,—মহারাষ্ট্ৰীয়গণ ! শত যুদ্ধে তোমরা আপন বিক্রমের পরিচয় দিয়াছ, শিবাজীর নাম রাখিয়াছ, অদ্য অার একবার সেই পরিচয় দাও । তরঙ্গী ! বাল্যকালের সৌহৃদ্যের পরিচয় অঙ্গ প্রদান কর । প্রভুবাক্যে সকলের হৃদয় সাহসে পরিপূর্তি হইল, নিঃশব্দে সেই গভীর অন্ধকারে সকলে অগ্রসর হইল, অচিরে দুর্গপ্রাচীরের নিকট পৌছিল। রজনী দ্বিপ্রহর অতীত হইয়াছে, আকাশে আলোক নাই, জগতে শব্দ নাই, কেবল রহিয়া রহিয়া নৈশ বায়ু সেই পৰ্ব্বত-বৃক্ষের ভিতর দিয়া মৰ্ম্মর শব্দে প্রবাহিত হইতেছে । - রুদ্রমণ্ডলের প্রাচীর হইতে শিবঙ্গী বিংশ হস্ত দুরে আছেন, এমন সময়ে দেখিলেন, প্রাচীরের উপর একজন প্রহরী, বৃক্ষের ভিতর শব্দ শ্ৰৰণ করিয়া প্রহরী পুনরায় এই দিকে অলিয়াছে। একজন মাউলী নি:শব্দে একটি তীর নিক্ষেপ করিল, হতভাগ্য প্রহরীর মৃত শরীর প্রাচীরের বাহিরে পতিত হইল । সেই শব্দ শুনিয়া আর এক জন, দুই জন, দশ জন, শত জন, ক্রমে দুই তিন শত জন সৈনিক প্রাচীরের উপর ও নীচে জড় হইল। শিৰঞ্জী রোষে ওষ্ঠের উপর দস্ত স্থাপন করিলেন, আর লুক্কায়িত থাকিবার উপায় দেখিলেন না, দৈন্তকে অগ্রসর হইবার আদেশ দিলেন । তৎক্ষণাৎ মহারাষ্ট্রীয়দিগের "হুর হর মহাদেও” যুদ্ধনাদ গগনে উখিত ছইল, একদল প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিবার জন্য দৌড়াইয়া গেল, আর একদল বৃক্ষের ভিতর থাকিয়াই ক্ষিপ্ৰহস্তে প্রাচীরারোহী মুসলমানদিগকে তীর দ্বারা বিদ্ধ করিতে লাগিল। মুসলমানেরাও শত্রুর