o মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত לל পৰ্ব্বতদুর্গ আরোহণ করিতেছে । দেখিয়া তাছার মুখ গম্ভীর হইল। স্ব তীক্ষ নয়নে দেখিলেন, দুর্গের মধ্যে কিল্লাদারের প্রাসাদই সৰ্ব্বাপেক্ষা দুর্গম স্থান। চারিদিকে প্রস্তরময় প্রাচীর, অগ্নিতে সে প্রাচীরের কিছুমাত্র অনিষ্ট হয় নাই। প্রাসাদের দ্বার ও গ ৰাক্ষ জলিয়া গিয়াছে, কোথাও বা ঘর পড়িয়া প্রস্তর স্তুপাকার হইয়াছে। তীক্ষনয়ন শিৰঞ্জী মূহুর্তের মধ্যে দেখিলেন, অধিকসংখ্যক সৈন্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার স্থল ইহা অপেক্ষ উৎকৃষ্টতর আর হইতে পারে না । মুহূর্ব মধ্যে মনে সমস্ত ধারণা করিলেন। তন্ত্রজী ও দুইশত সেনাকে সেই প্রাসাদে সন্নিবেশিত করিলেন, প্রাচীরের পাশ্বে তীরন্দাজ রাখিলেন, দ্বার ও গবাক্ষের পাশ্বে তীরন্দাজ রাখিলেন, ছাদের উপর বর্শাধারী যোদ্ধগণকে সন্নিবেশিত করিলেন। কোথাও প্রস্তর পরিষ্কার করিলেন, কোথাও অধিক প্রস্তর একত্র করিলেন, মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সমস্ত প্রস্তুত। তখন হাস্ত করিয়া তরঙ্গীকে কহিলেন,— তরঙ্গী, শত্রুরা যদি এই প্রাসাদ আক্রমণ করে, তুমি ইহা রক্ষা করিতে পরিবে। কিন্তু শক্রকে এই স্থানে আলিতে দিবার পূৰ্ব্বে বোধ হয় পরা. করা যাইতে পারে, তাহারা এখনও পৰ্ব্বত আরোহণ করিতেছে, এই সময়ে আক্রমণ করা উচিত। তরজী, দুইশত লৈন্ত সহিত এই স্থানে অৰস্থিতি কর, আমি একবার উদ্যোগ করিয়া দেখি । তন্ত্রজী । তন্নজী এ স্থানে অৰস্থিতি করিবে না, একজন মহারাষ্ট্রীয়ও এ স্থানে অবস্থিতি করিবে না ! ক্ষত্রিম্বরাজ ! আপনি এই প্রাসাদ রক্ষা করুন, সমস্ত স্বগৃঙ্খলা করুন। আগন্তুক শক্রদিগকে তাড়াইয়া দিতে আপনার ভূত্যের কি সক্ষম নহে ? শিবাজী ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন,—তরঙ্গী ! তোমার কথাই ঠিক ! অtমি সম্মুখে শত্রু দেখিয়া যুদ্ধ-লুব্ধ হইয়াছিলাম, কিন্তু তোমার পরামর্শই
পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।