পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১২৩

ծ ԵՀ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ভীষণনাদে যুদ্ধের উপক্রম করিল। সে যুদ্ধ হইল না। প্রাচীরের উপর মশালের আলোকে অসংখ্যক শক্ৰ দেখিয়া আফগানগণ দুর্গ উদ্ধার করা দুঃসাধ্য জানিয়া পুনরায় পৰ্ব্বত অবতরণ করিয়া পলাইল । মাউলীগণ পশ্চাদ্ধাবন করিল, উন্মত্ত মাউলীদিগের অবারিত ছুরিকা ও খড়গাঘাতে আফগানগণ নিপতিত হইতে লাগিল । রঘুনাথ তখন উচ্চৈঃস্বরে আদেশ দিলেন,—পলাতককে যাইতে দাও, ছ ত্যা করি ও মা, শিবঞ্জীর আদেশ পালন কর। যুদ্ধ শেষ হইল, আফগানগণ পৰ্ব্বত অবতরণ করিয়া পলাইল । তখন রঘুনাথ দুর্গের প্রাচীরের স্থানে স্থানে প্রহরী সংস্থাপন করিলেন, গোলা, বারুদ ও অস্ত্রশস্ত্রের ঘরে আপন প্রহরী সন্নিবেশিত করিলেন, দুর্গের সমস্ত ঘর, সমস্ত স্থান হস্তগত করিয়া সুরক্ষার আদেশ দিয়া শিবঞ্জীর নিকট যাইয়া শির নামাইয়া সমস্ত সমাচার নিবেদন কkিলেন। যখন উলার রক্তিমছটা পূৰ্ব্বদিকে দৃষ্ট হইল, প্রাতঃকালের মুম্বন্দ শীতল বায়ু বহিতে লাগিল, তখন সমস্ত দুর্গ শব্দশৃষ্ঠ, শিস্তব্ধ । যেন এই মুন্দর শাস্ত পাদপমণ্ডিত পৰ্ব্বতশিখর যোগি-ঋষির আশ্রম, যেন যুদ্ধের পৈশাচিক রব কখনও এ স্থানে শ্রত হয় নাই ! ക്കു--ക്കു