পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত שג כ যুদ্ধ করিয়াছ, রাজা তোমাদিগকে বিশ্বাস করেন, তোমরাও এরূপ প্ৰভু কখনও পাইবে না। আপনাদিগকে বিশ্বাসের যোগ্য প্রমাণ কর, যদি কেহ বিদ্রোহী থাকে, তাহাকেও অনিয়া দাও। যদি সে কল্য রজনীর যুদ্ধে মরিয়া থাকে, তাহার নাম কর, অন্তায় সন্দেহে কেন সকলের নাম কলুষিত হইতেছে ? সৈন্তগণ তখন কল্যকার কথা স্মরণ করিতে লাগিল, পরম্পরে কথা কহিতে লাগিল, শিবঞ্জীর ক্রোধ কিঞ্চিৎ হ্রাস হইল। কিঞ্চিৎ মুস্থ হইয়। শিবাজী বলিলেন,—মহারাজ ! অদ্য যদি সেই কপট যোদ্ধাকে বাছির করিয়া দিতে পারেন, আমি চিরকাল আপনার নিকট ঋণী থাকিব । চজরাও নামে একজন জুমলাদার অগ্রসর হইয়া ধীরে ধীরে ৰলিলেন,-রাজন কল্য এক প্রহর রজনীর সময় যখন আমরা যুদ্ধযাত্র করি, তখন আমার অধীনস্থ একজন হাবিলদারকে অনুসন্ধান করিয়া পাই নাই। যখন দুর্গতলে পহুছিলাম, তখন তিনি আমাদের সহিত যে*গ দিলেন । শিবাজী। সে কে, এখনও জীবিত আছে ? বিদ্রোহীর নাম শুনিবার জন্ত সকলে নিস্তব্ধ ! শিবজীর ঘন ঘন নিশ্বাসের শক্ষা গুনা যাইতেছে। সভাতলে একটি স্থচিকা পড়িলে ৰোধ হয়, তাহার শব্দ শুনা যায়। সেই নিস্তব্ধতার মধ্যে চজরাও ধীরে ধীরে বলিলেন,—"রঘুনাথজী হাবিলদার ?” সকলে নিৰ্ব্বাক্, বিস্ময়ভন্ধ ! চঞ্জরাও একজন প্রসিদ্ধ বোদ্ধ ছিলেন, কিন্তু রঘুনাথের আগমনাধধি সকলে চজরাওয়ের নাম ও বিক্রম বিশ্বত হইয়াছিলেন । মানবপ্রকৃতিতে ঈর্ষার স্তায় তাৰণ বলবতী প্রবৃত্তি আর নাই ।