পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२e মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত হইতেছে ! কল্য যেরূপ অসংখ্য শক্রমধ্যে প্রাচীরোপরি একাকী দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন, অজ্ঞ তদ:পক্ষ অধিক সঙ্কটমধ্যে যোদ্ধা সেইরূপ ধীর, সেইরূপ অবিচলিত ! শিবাজী তর্জন করিয়া বলিলেন,—তবে কি জন্য আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া এক প্রহর রজনীর সময় অনুপস্থিত ছিলে ? রঘুনাথের ওষ্ঠ ঈষৎ কম্পিত হইল, কিন্তু তিনি কোন উত্তর না করিয়া ভূমির দিকে চাহিয়া রছিলেন। রঘুনাথকে নিৰ্ব্বাক্ দেখিয়া শিবঙ্গীর সন্দেহবৃদ্ধি হইল, নয়নদ্বয় পুনরায় রক্তবর্ণ হইল,—ক্ৰোধকম্পি তস্বরে বলিলেন,—কপটাচারি । এই জন্ত বীরত্ব প্রদর্শন করিয়াছিলে ? কিন্তু কুক্ষণে শিবজীর নিকট ছলনা চেষ্টা করিয়াছিলে । রঘুনাথ সেইরূপ ধীর অকম্পিত স্বরে বলিলেন,—রাজম । ছলনা ও কপটাচরণ আমার বংশের রীতি নহে, বোধ হয়, প্রভূ চঞ্জরাও তাহা জানিতে পারেন । রঘুনাথের স্থিরভাব শিবাজীর ক্রোধে আহুতিস্বরূপ হইল, তিনি কর্কশভাবে বলিলেন,—পাপিষ্ঠ ! পরিত্রাণ-চেষ্টা বৃথা । ক্ষুধাৰ্ত্ত সিংহের গ্রালে পড়িয়া পলায়ন করিতে পার, কিন্তু শিবঙ্গীর জলন্ত ক্রোধ হইতে পরিত্রাণ নাই। রঘুনাথ পূৰ্ব্ববৎ ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন,—আমি মহারাজের নিকট পরিত্রাণ-প্রার্থনা করি না, ময়ুৰ্য্যের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি ল, জগদীশ্বর আমার দেবে মার্জন করুন । ক্ষিপ্তপ্রায় শিৰঞ্জী বর্শা উত্তোলন করিয়া বহু নদে আদেশ করিলেন,—বিদ্রোহীচরণের শাস্তি প্রাণদণ্ড । রঘুনাথ সেই বজ্ৰমুষ্টিতে তীক্ষ বর্শা দেখিলেন, তখনও সেই