পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** মহারাষ্ট্র জীৰন-প্রভাত শিবলী পুনরায় বলিলেন,—অপেক্ষ কর । দুই বৎসর হইল, তোমার কোষের ঐ অলি আমিই তোমাকে দিয়াছিলাম, বিদ্রোহীর হস্তে আমার জলির অৰমাননা হইবে না। প্রছৱিগণ । অলি কাড়িয়া লও, পরে বিদ্রোহীকে দুর্গ হইতে নিষ্ক্রান্ত করিয়া দাও। রঘুনাথের যখন প্রাণদণ্ডের আদেশ হইয়াছিল, রঘুমথি সে সময় জৰিচলিত ছিলেন। কিন্তু প্রহরিগণ যখন অসি কাড়িয়া লইতেছিল, তখন তাহার শরীর কম্পিত হইল, নয়নদ্বয় আরক্ত হইল। কিন্তু তিনি লে উদ্বেগ সংযম করিলেন, শিবাজীর দিকে একবার চাহিয়া মৃত্তিকা পৰ্য্যস্ত শির নামাইয়া নি:শব্দে দুর্গ হইতে প্রস্থান করিলেন। সন্ধ্যার ছায়া ক্রমে গাঢ়তর হইয়া জগৎ আবৃত করিতেছে, একজন পথিক একাকী নি:শব্দে পৰ্ব্বত হইতে অবতীর্ণ হুইয়া প্রান্তরাভিমুখে গমন করিলেন। প্রাস্তর পার হইলেন, একটি গ্রামে উপস্থিত হইলেন, সেটি পার হইয়া আর একটি প্রাস্তরে আসিলেন। অন্ধকার গভীরতর হইল, রহিয়া রহিয়া নৈশ বায়ু বহিয়া যাইতেছে, তাছার পর আর কেহ লে পথিককে দেখিতে পাইল না।