পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s९8 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ভিন্ন চন্দ্ররাওয়ের অfর একটি গুণ বা দোষ ছিল, তাহ কেহই বিশেষরূপে জানিত না । বিজাতীয় উচ্চাভিলাষে তাছার হৃদয় দিবারাত্র জ্বলিত । অসাধারণ বুদ্ধিপঞ্চালনে তিনি আত্মোন্নতির পথ আবিষ্কার করিতেন, অতুল দৃঢ়প্রতিজ্ঞার সহিত সেই পথ অবলম্বন করিতেন, খড়গহস্তে সেই পথ পরিষ্কার করিতেন । শত্রু হউক, মিত্র হউক, দোষী হউক, নির্দোষী হউক, অপকারী হউক বা পরম উপকারী হউক, সে পথের সম্মুখে যিনি পড়িতেন, উচ্চাভিলাৰী চঞ্জরাও নিঃসঙ্কোচে পতঙ্গ বৎ তাহকে পদদলিত করিয়া নিজ পথ পরিষ্কার করিতেন। অদ্য বালক রঘুনাথ ঘটনাবশতঃ সেই পথের সম্মুখে পড়িয়াছিলেন, তাহকে পতঙ্গবৎ দলিত করিয়া জুমলাদার পথ পরিষ্কার করিলেন। এরূপ অসাধারণ পুরুষের পূর্ববৃত্তাপ্ত জানা আবশুক। সঙ্গে সঙ্গে রঘুনাথের বংশবৃত্তাস্তও কিছু কিছু জানিতে পারিব । চন্দ্ররাও তাছার জন্মবৃত্তান্ত প্রকাশ করিতেন না। রাজা যশোবস্ত সিংহের একজন প্রধান সেনানী গজপতিসিংহ চন্দ্ররাওকে বাল্যকালে লালনপালন করিয়াছিলেন । অনাথ বালক গজপতির গৃহের কার্য্য করিত, গজপতির পুত্র কন্যাকে যত্ন করিত, অথবা গজপতির সহিত যুদ্ধে যুদ্ধে ফিরিত। যখন চঞ্জরাওয়ের বয়ঃক্রম পঞ্চদশ বর্যমাত্র, তখন গজপতি র্তাহার গভীর চিন্তা, ছৰ্দ্দমনীয় তেজ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখিয়৷ আনন্দিত হইলেন, নিজপুত্র রঘুনাথের ন্তায় চজরাওকে ভালবাসিতেন ও এই কোমল ৰয়সেই আপন অধীনে সৈনিককার্ষে নিযুক্ত করেন । সৈনিকের ত্ৰত ধারণ করিয়া অবধিই চন্দ্ররাও দিন দিন যে বিক্রম প্রকাশ করিতে লাগিলেন, তাহ দেখিয়া প্রাচীন যোদ্ধাগণও বিস্থিত