পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ४ २ १ বন্ধু চলিয়া গেল, চন্দ্ররও পুনরায় পুস্তক খানি খুলিলেন । সেটি যথার্থই হিসাবের পুস্তক, চন্দ্রর ও একটি ঋণের কথাই লিখিয়াছিলেন। পুনরায় পুস্তক বন্ধ করিয়া দীপ নিৰ্ব্বাণ করিলেন। এই ঘটনার এক বৎসর পরে অণরংজীবের সহিত যশোৰম্ভের উজ্জয়িনী সন্নিধানে মহাযুদ্ধ হয় । সেই যুদ্ধে গজপতিসিংহ ছত ছয়েন, “মাধবীকঙ্কণ" নামক উপন্যাসের * tঠক তাই অবগত আছেন । গজপতির অনাথ বালক ও ৰালিক। মাড়ওয়ার হইতে পুনরায় মেওয়ার প্রদেশে স্থৰ্যমহল নামক দুর্গে যাইতেছিল। রঘুনাথের বয়ঃক্রম দ্বাদশ বর্ষ, লক্ষ্মীর নয় বৎসর মাত্র, সঙ্গে কেবল একমাত্র পুরাতন ভৃত্য। পথিমধ্যে একদল দস্থ্য সেই ভৃত্যকে হত্যা করিয়া বালকৰসিক।কে মহারাষ্ট্রদেশে লইয়। যাইল। বালক অল্পবয়সেই তেজস্বী, রজনীযোগে দৰ্যদিগের শিবির হইতে পলায়ন করিল, বালিকাকে দম্পতি বলপূৰ্ব্বক বিবাহ করিলেন। তিনি চন্দ্ররাও ! তীক্ষুবুদ্ধি চন্দ্র রাওয়ের মনো? থ কতক পরিমাণে পূর্ণ হইল । গজপতির সংসার হইতে কিছু অর্থ আনিয়াছিলেন, বিস্তীর্ণ জায়গীর কিনিলেন, মহারাষ্ট্রদেশে একজন সমাদৃত সম্রাস্ত লোক হইলেন। চন্দ্ররাওয়ের বংশ এক পুরাতন রাজপুতবংশ হইতে উদ্ভূত, এ কথা কেছ বিশ্বাস করিল না, তিনি প্রসিদ্ধনাম রাজপুত গজপতিসিংহের একমাত্র দুহিতাকে বিবাহ করিয়াছেন, সকলে দেখিতে পাইল । তাহার সাহল ও বিক্রম দেখিয়া শিৰঞ্জী তাহাকে জুমলাদারের পদ দিrলন, তাহার বিপুল অর্থ ও জায়গীর দেখিয়া সকলে তাহার সমাদর করিলেন । দিনে দিনে চন্দ্ররাওয়ের যশ বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, এমন সময় কুক্ষণে বালক রঘুনাথ তাহার উন্নতির পথে আলিয়া পড়িল। জুমলাদার অচিরে পথ পরিষ্কার করিয়া লইলেন।