পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত האל প্রাস্তরে বা পৰ্ব্বতশৃঙ্গোপরি উপবেশন করিয়া একাকী প্রাণ ভরিয়া রোদন করিত, পুনরায় চক্ষের জল মোচন করিয়া স্বকার্য্যে যাইত । বম্নোবুদ্ধির সহিত বংশোচিত ভাব হৃদয়ে বেন আপনিই জাগরিত হইতে লাগিল। অল্পবয়স্ক ভৃত্য গোপনে কখন কখন প্রভূর শিরস্ত্রণ মস্তকে ধারণ করিত, প্রভুর অসি কোষে ঝুলাইত ! সন্ধ্যার সময় প্রাস্তরে ৰলিয়া দেশীয় চারণদিগের গান উচ্চৈঃস্বরে গাইত, নৈশ পথিকেরা পৰ্ব্বতগুছায় সংগ্রামসিংহ বা প্রতঃপের গীত শুনিয়া চমকিত হইত। যখন অষ্টাদশ বৎসর বয়স, তখন রঘুনাথ শিবাজীর কীৰ্ত্তি, শিবাজীর উদ্দেশু, শিবাজীর বীৰ্য্যের কথা চিন্তা করিতেন । রাজস্থানের স্তায় মহারাষ্ট্রদেশ স্বাধীন হুইবে, শিবজী দক্ষিণদেশে হিন্দুরাজ্য বিস্তার করিবেন, এইরূপ চিস্তা করিতে করিতে বালকের হৃদয় উৎসাহে পূর্ণ হইল, তিনি শিবঞ্জীর নিকট যাইয়া একটি সামান্ত সেনার কার্য্য প্রার্থনা করিলেন । শিৰঞ্জী লোক চিনিতে অদ্বিতীয়, কয়েক দিনের মধ্যে রঘুনাথকে চিনিলেন, একটি হাবিলদারী পদে নিযুক্ত করিলেন, ও তাহার কয়েক দিবস পরেই তোরণদুর্গে পাঠাইলেন । পথে রঘুনাথের সহিত আমাদিগের প্রথম সাক্ষাৎ হইয়াছিল। তাছার প্রকৃত নাম রঘুনাথ সিংহ , কিন্তু মহারাষ্ট্রদেশে হাবিলদারী কাৰ্য্য পাওয়া অবধি সকলে তাহাকে রঘুনাথজী হাবিলদার বলিয়া ডাকিত । রঘুনাথ হাবিলদারী পদ পাইয়াছিলেন বলা হইয়াছে। রঘুনাথের শিৰঞ্জীর নিকট আগমনের সময় চন্দ্ররাও জুমলাদারের অধীনে একজন হাবিলদারেল মৃত্যু হয়, তাছারই পদ রঘুনাথ প্রাপ্ত হন । রঘুনাথ চঞ্জরাওকে পিতার পুরাতন ভৃত্য ও আপনার বাল্যমুহৃৎ বলিয়া চিনিলেন, তাহাকে দম্য বা ভগিনীপতি বলিয়া জানিতেন না, সুতরাং so