পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

かご● মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত তিনি সানন্দে তাহার সহিত অtলাপ করিতে যাইলেন । চন্দ্ররাও রঘুনাথকে অভ্যর্থনা করিলেন, কিন্তু অল্পভাষী জুমলাদারের ললাট আপ্ত পুনরায় কুঞ্চিত হইল । দিনে দিনে রঘুনাথজীর সাহস ও বিক্রমের যশ অধিক বিস্তার হইতে লাগিল, চন্দ্র রাওয়ের চিস্তা গভীরতর হইল। চন্দ্ররাওয়ের স্থিরপ্রতিজ্ঞ কখনও বিচলিত হইত না, গভীর মন্ত্রণ কখনও ব্যর্থ হইত না । অদ্য রঘুনাথজী দৈবযোগে প্রাণে রক্ষা পাইলেন, কন্তু বিদ্রোহী কপটাচারী বলিয়া শিবঙ্গীর কার্য্য হইতে দূরীভূত ছইলেন । - চন্দ্ররাওও শিবাজীর নিকট কয়েক দিনের বিদায় গ্রহণ করিয়া বাটী খাইলেন । পাঠক ! চল, আমরাও একবার বড়লোকের বাট সভয়ে প্রবেশ করি । জুঘলাদার বাট অগিলে, বহিদ্বারে নহবৎ বাঞ্জিতে লাগিল, অসংখ) দাসদাসী প্রভূর সম্মুখে আসিল, অনেক প্রতিবেশী সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন, অচিরে চন্দ্ররাওয়ের আগমনৰাপ্ত সমগ্র দেশে রাষ্ট হইল । জুমল,দারের বাটীর অন্তঃপুরে ধূমধাম পড়িয়া গেল, সেই ধূমধামের মধ্যে শাস্তনয়ন ক্ষীণাঙ্গী লক্ষ্মীৰাই নীরবে স্বামীর অভ্যর্থনার আয়োজন করিতে লাগিলেন । লক্ষ্মীবাই যথার্থ লক্ষ্মীস্বরূপ, শাস্ত, ধীর, বুদ্ধিমতী, পতিব্ৰতা । বাল্যকালে পিতার অাদরের কস্তা ছিলেন, কিন্তু কোমল-বয়সে বিদেশে অপরিচিত লোকের মধ্যে অল্পভাষী কঠোরস্বভাৰ স্বামীর হস্তে পড়িলেন, বৃক্ষ হইতে উৎপাটিত কোমলপুষ্পের ন্যায় দিন দিন শুষ্ক হইতে লাগিলেন । নয় বৎসরের বালিকার জীবন শোকাচ্ছন্ন হইল, কিন্তু সে শোক কাহাকে জানাইবে ? কে দুটা কথা বলিয়া সাস্বনা করিৰে ?