পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত לסיני বালিকা পুৰ্ব্বকথা স্মরণ করিত, পিতার কথা স্মরণ করিত, প্রাণের সহোদরের কথা স্মরণ করিত, আর গোপনে অশ্রীবর্ষণ করিত । শোকে পড়িলে, কষ্টে পড়িলে, আমাদের বুদ্ধি তীক্ষ হয়, আমাদের হৃদয় ও মন সহিষ্ণু হয়। বালিক দুই এক বৎসরের মধ্যেই সংসারের কার্ব্য করিতে লাগিলেন, স্বামীর সেবায় রত হইলেন । হিন্দু-রমণীর পতি ভিন্ন আর কি গতি আছে ? স্বামী যদি সহৃদয় ও সদয় হন, নারী আনন্দে ভাসিয়া তাহার সেৰা করেন, স্বামী নির্দয় ও বিমুখ হইলেও নারীর পতিসেবা ভিন্ন আর কি উপায় আছে ? কিন্তু যদিও চন্দ্ররাওয়ের হৃদয়ে অভিমান, জিঘাংসা ও উচ্চাভিলাষ বিরাজ করিত, তথাপি তিনি অসহায় নারীর প্রতি নির্দয় ছিলেন না । নমমুখী, নম্রহৃদয়া লক্ষ্মীবাইয়ের পরিচর্য্যায় চন্দ্ররাও তুষ্ট হইতেন ; যুদ্ধবিগ্ৰছ শেষ হইলে পতিপরায়ণ লক্ষ্মীবাইয়ের নিকটে আসিয়া শান্তিলাভ করিতেন ; লক্ষ্মীবাইয়ের স্নিগ্ধ রূপ দেখিয়া ও স্নিগ্ধ কথাগুলি শুনিয়া তাহাকে সাদরে হৃদয়ে ধারণ করিতেন। লক্ষ্মীবাই তখন জগতের মধ্যে আপনাকে ভাগ্যবতী মনে করিতেন, স্বামীর সামান্ত যত্বে তিনি পুলকিত হইতেন, স্বামীর একটি মিষ্ট কথায় তাহার হৃদয় প্লাবিত হইত। যে পুপচারাটিকে উদ্যান হইতে আনিয়া গৃহমধ্যে অন্ধকারে রাখা যায়, সে চারাটি গৃহমধ্যস্থ একটি আলোকরেখার দিকে কত পুলকের সহিত ধায় ! এইরূপে সংলার কার্ষ্য ও পতিসেবায় এক বৎসরের পর আর এক বৎসর অতিবাহিত হইতে লাগিল, ধীর শাস্ত লক্ষ্মী যৌবন প্রাপ্ত হইলেন, কিন্তু সে যৌবন কি শাস্ত, নিরুদ্বেগ ! লক্ষ্মী পূর্বের কথা প্রায় ভুলিয়া গেলেন, অথবা যদি সায়ংকালে কখন রাজস্থানের কথা মনে উদয় হইত, বাল্যকালের মুখ, বাল্যকালের ক্রীড়া ও প্রাণের ভ্রাত রঘুনাথের কথা মনে হুইত, যদি নিঃশব্দে দুই এক বিন্দু অশ্রু সেই মুনীর রক্তশূন্ত গণ্ডস্থল