পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ Ֆե মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত তথার শাস্তিরস ভিন্ন অষ্ট কোন ভাবের উদ্রেক হয় নাই, ভারতবর্ষের পবিত্র পুরাণকথা বা বেদমন্ত্র ভিন্ন অন্য কোন শব্দ সেই পুরাতন পাদপবৃন্দ শ্রবণ করে নাই। বহু যুদ্ধ ও আহবে মঙ্গরাষ্ট্রদেশ ব্যতিব্যস্ত ও বিপৰ্য্যস্ত হইতেছিল, কিন্তু হিন্দু কি মুসলমান কেহই এ ক্ষুদ্র প্রশাস্ত পৰ্ব্বতমন্দির বিগ্রহের রবে কলুষিত করে নাই। রজনী এক প্রছরের সময় একজন পথিক একাকা সেই শস্ত কাননের মধ্যে বিচরণ করিতেছিলেন। পথিকের হৃদয় উদ্বেগপরিপূর্ণ, প্রশস্ত ললাট কুঞ্চিত, মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ, নয়ন হইতে উন্মত্ততার অস্বাভাৰিক জ্যোতিঃ নিৰ্গত হইতেছিল । রোষে, জিঘাংসায়, বিষাদে অদ্য রঘুনাথের হৃদয় একেবারে দগ্ধ হইতেছিল। অনেকক্ষণ পদচারণ করিতে লাগিলেন, শরীর একেবারে অবসন্ন হইয়াছে, তথাপি হৃদয়ের উদ্বেগ নিৰারণ হয় না। রঘুনাথ উন্মত্তপ্রায়" এ ভীষণ চিস্তার অtশু উপশম ন হইলে রঘুনাথের বিবেচনাশক্তি বিচলিত বা লুপ্ত হইবে । প্রকৃতি ভীষণ চিকিৎসক । এই বিষম সংসারে শেলসম যে দুঃখ হৃদয় বিদীর্ণ করে, অগ্নিসম যে চিস্তা শরীর শোযণ ও দাহ করে, যে মানসিক রোগের ঔষধ নাই, চিকিৎসা নাই, প্রকৃতি চিন্তাশক্তি লোপ করিরা তাহার উপশম করে । উন্মত্ততাই কত শত হতভাগার আরোগ্য ! কত সহস্ৰ হতভাগা এই আরোগ্য দিবানিশি প্রার্থনা করে, কিন্তু প্রাপ্ত হয় না। সেই পাদপের অনতিদূরে কতকগুলি ব্রাহ্মণ পুরাণ পাঠ করিতেছিলেন। আহা ! সেই সঙ্গীতপূর্ণ পুণ্যকথা ঘন শাস্ত নিশীথে, শাস্ত কাননে অমৃত বর্ষণ করিতেছিল, নক্ষত্র-বিভূষিত নৈশ গগনমণ্ডলে ধীরে ধীরে উত্থিত হইতেছিল । সেই পুণ্যকথা শাস্ত নৈশ কালনে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল, অচেতন পাদপকে ও যেন সচেতম করিতে