পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত So Y আহা । আজ আমার কি পরম মুখ, দুঃখিনীর কপালে কি এত মুখ ছিল ? ভাই, এ শীতল বাতাসে আtঃ থাকিলে তোমার অমুখ হইবে, চল, মন্দিরের ভিতর.যাই, আমি আর অধিকক্ষণ থাকিতে পারিব না । ভ্রাতা-ভগিনী মন্দির-অভ্যস্তরে আসিলেম, ল ধী একটি স্তম্ভের পাশ্বে উপবেশন করিলেন, শ্রান্ত রঘুনাথ পূর্ববৎ লক্ষ্মীর অঙ্কে মস্তক স্থাপন করিয়া শয়ন করিলেন, মৃদুস্বরে উভয়ে গভীর অন্ধকার দুজনীতে পূৰ্ব্বকথা কহিতে লাগিলেন। ধীরে ধীরে ভ্রাতার ললাটে ও দেহে স্ত বুলাইয়া লক্ষ্মী কত কথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। রঘুনাথ তাহার উত্তর করিতে লাগিলেন । দস্থ্যছপ্ত হইতে পলায়ন করিয়া অমাপ বালক কোন কোন দেশে বিচরণ করিয়াছিলেন, কোথায় কি অবস্থায় ছিলেল, তাহাই বলিতে লাগিলেন । কখন মহারাষ্ট্রীয় কৃষকদিগের সহিত চাষ করি৩েম, কখন গোবৎস বা মেষপাল রক্ষা করিতেন, মেষের সঙ্গে সঙ্গে পৰ্ব্বতে, উপত্যকায়, বিস্তীর্ণ প্রাস্তরে ভ্রমণ করিতেন, বা নির্জনে বসিয়া চারণদিগের গীত গাইতেন। কখন সায়ংকালে নদীকূলে একাধী বসিয়া উচ্চৈঃস্বরে সেই গীত গাইয়া হৃদয়কে শাস্ত করিয়াছেন, কখন প্রত্যুষে অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিয়া, পূৰ্ব্বকথা স্মরণ করিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদণ করিয়াছেন। পৰ্ব্বতলফুল কঙ্কণ-প্রদেশে কয়েক বৎসর অবস্থিতি করিয়াছেন, অবশেষে একজন মহারাষ্ট্রীয় সেন্ণণীর অধীনে কাৰ্য্য করিয়;ছেন, তাহার সঙ্গে সঙ্গে কখন কখন যুদ্ধক্ষেত্রে যাইতেন। বয়ে বৃদ্ধির সহিত রঘুনাথের যুদ্ধব্যবসায়ে উৎসাহ বৃদ্ধি পাইয়াছিল, অবশেযে মহামুভব শিধজীর নিকট উপস্থিত হইয়া তিনি সৈনিকের পদ গ্রহণ করেন । আজ তিন বৎসর হইল, সেই কাৰ্য্য করিয়াছেন, জগদীশ্বর জানেন, তিনি কার্থ্যে ক্ৰটি করেন নাই , কিন্তু প্ৰভু শিবাজীর অযথা সন্দেহে অপমানিত হইয়।