পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 88 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত লক্ষ্মী। তৰে সেই কলঙ্ক দূর করিবার চেষ্টায় কেন বিমুখ হও? ৰছামুভব শিবজীর নিকট যাও, তাহার ক্ৰোধ দূর হইলে তিনি অবশুই তোমার কথা শুনবেন, তোমার দোষ নাই, বুঝিবেন । রঘুনাথ উত্তর করিলেন না, কিন্তু তাহর মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, চক্ষু হইতে অগ্নিকণা বহির্গত হইতে লাগিল। বুদ্ধিমতী লক্ষ্মী বুঝিলেন, পিতার অভিমান, পিতার দর্প পুত্রে বর্তমান । তিনি প্রাণ থাকিতে এইরূপ আবেদন করিবেন না। তীক্ষু বুদ্ধিমতী লক্ষ্মী ভ্রাতার অস্তরের ভাব বুঝিয়া পুনরায় বলিলেন,-মার্জন কর, আমি স্ত্রীলোক, সমস্ত বুঝি না। কিন্তু যদি শিবাজীর নিকটে যাইতে অসম্মত হও, কাৰ্য্য দ্বারা কেন অপেন যশ রক্ষা কর না ? পিতা বলিতেন, “সেনার সাহস ও প্রভূভক্তি কাৰ্য্যে প্রকাশ হয়।” যদি বিদ্রোহী বলিয়া তোমাকে কেহ সন্দেহ করিয়া থাকে, অসিহস্তে কেন সে সন্দেহ খণ্ডন কর না ? উৎসাহে রঘুনাথের নয়ন প্ৰজলিত হইল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন,—কিরূপে ? লক্ষ্মী । শুনিয়াছি, শিবাজী দিল্লী যাইতেছেন, তথায় সহস্র ঘটনা ঘটতে পারে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সৈনিকের আত্মপরিচয় দিবার সহস্র উপায়ু থাকিতে পারে। আমি স্ত্রীলোক, আমি কি জানি বল ? তোমার পিতার ন্যায় সাহস, তাহারই ছায় বীরপ্রতিজ্ঞা করিলে তোমার কোন উদ্দেশু না সফল হইতে পারে ? রঘুনাথের যদি অন্ত চিন্তার সময় থাকিত, তবে বুঝিতেন, কনিষ্ঠা লক্ষ্মী মানৰছদয়শাস্ত্রে নিতান্ত অনভিজ্ঞ নহেন। যে ঔষধি আজি রঘুনাথের হৃদয়ে ঢালিয়া দিলেন, তাছাতে মুহূৰ্ত্তমধ্যে শোকসত্তাপ দুর হইল, গৈনিকের হৃদয় পূৰ্ব্ববৎ উৎসাহে স্ফীত হইয়া উঠিল। রঘুনাথ অনেকক্ষণ চিন্তা করিলেন, তাহার নয়ন ও মুখমণ্ডল সহল।