পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ পরিচ্ছেদ রায়গড় দুর্গ ধিক দেব, ঘৃণাশূন্ত অক্ষুব্ধ হৃদয়, এত দিন আছ এই অন্ধতমপুরে, দেবত্ব, বিভব, বীৰ্য্য, সব তেয়াগিয়া, দাসত্বের কলঙ্কেতে ললাট উজ্জ্বলি ? হেমচন্দ্র বনো্যাপাধ্যায় । পূৰ্ব্বোক্ত ঘটনার কয়েক দিন পর, শিবঙ্গীর তদানীন্তন রাজধানী রায়গড়ে রজনী দ্বিপ্রহরের সময় একটি সভা সন্নিবেশিত হইয়াছে। শিবাজীর প্রধান প্রধান সেনাপতি, মন্ত্রী, কৰ্ম্মচারী, পুরোহিত ও শাস্ত্রজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ সভায় উপস্থিত হইয়াছেন। পরাক্রান্ত যোদ্ধা, ধীশক্তিসম্পন্ন মন্ত্রী, শীর্ণতমু শুক্লকেশ বছদশী দ্যায়শাস্ত্রী, সভাতল মুশোভিত করিয়াছেন। যুদ্ধৰ্যবসায়ে, বুদ্ধিসঞ্চালনে, বা বিস্তাবলে ইহারাই শিবাজীর চিরসহায়ত করিয়াছেন, শিৰঞ্জীর স্তায় ইহাদেরও হৃদয় স্বদেশামুরাগে পূর্ণ। কিন্তু অদ্য সভাস্থল নীরব, শিবজী লীরব, মহারাষ্ট্রীয় বীরগণ অল্প মহারাষ্ট্রীয় গৌরবলক্ষ্মীর নিকট বিদায় লইবার জন্ত সমবেত হইয়াছেন । অনেকক্ষণ পর শিবাজী মুরেশ্বরকে সম্বোধন করিয়৷ বলিলেন,পেশওয়াজী । আপনি তবে এই পরামর্শ দিতেছেন, সম্রাটের অধীনতা স্বীকার করিয়াছি, তাহার অধীন জায়গীরদার হইয়া থাকিব ?