পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৭২

মহারাষ্ট্র জীবন-প্ৰভাত እዩ›› মনে পড়ে ? ঐ ভগ্ন দ্বর্গ প্রাসাদপূর্ণ ও বহুজনাকীর্ণ ছিল, পতাকা ও তোরণশোভিত একটি বিস্তীর্ণ নগর ছিল । রাজসভায় যোদ্ধবর্গবেষ্টিত হইয়া রাজা বসিয়া আছেন, বাহিরে যতদূর দেখা যায়, পথে, ঘাটে, বাটীতে, প্রাঙ্গণে ও নদীতীরে নাগরিকগণ আনন্দে উৎসব করিতেছে । বহু বিস্তীর্ণ বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হইতেছে, উদ্যানে লোকে আনন্দে নৃত্যগীত করিতেছে, সরোবর হইতে ললনাগণ কলল করিয়া জল লইয়া যাইতেছে, প্রাসাদ সম্মুখে সেনাগণ সলজ্জ দণ্ডায়মান রছিয়াছে, অশ্ব, হস্তী, রথ, দণ্ডায়মান রহিয়াছে, বাস্থ্যকর সানন্দে বাদ্য করিতেছে ! প্রভাতের স্বৰ্য্য এই অপরূপ দৃহের উপর সুন্দর রশ্মি বর্ষণ করিতেছেন, এমত সময়ে মহম্মদ ঘোণীর দুত রাজসভায় প্রবেশ কংিল। সে কথা কি আপনার মনে পড়ে ? ন্যায়শাস্ত্রী। রাজন! চাদ কবির কথা মনে আছে, কিন্তু আপনি আর একবার লে কথা বলুন। আপনার মুখে সে কথা বড় মিষ্ট লাগিতেছে। * শিৰঞ্জী। মুসলমান দূত পৃথুরায়কে বলিল,—মহারাজ ! মহম্মদ ঘোরী আপনার রাজ্যের অৰ্দ্ধ;ংশ মাত্র লইয়া সন্ধিস্থাপন করিতে সন্মত আছেন, তাছাতে আপনার কি মত ? মহানুভব পৃথুরায় উত্তর করিলেন,—যবে স্বৰ্য্যদেৰ আকাশে অঙ্ক একটি স্বর্যাকে স্থান দিবেন, পৃথুরায় সেই দিন স্বীয় রাজ্যে অস্ত রাজাকে স্থান দিবেন। মুসলমান দূত পুনরায় বলিল,—মহারাজ ! আপনার শ্বশুর মহাশয় মহম্মদ ঘোরীর লছিত সন্ধি করিয়াছেন, আপনি যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলমান ও রাঠোর সৈন্ত একত্র দেখিতে পাইৰেন । পৃথুরায় উত্তর করিলেন,—শ্বশুর মহাশয়কে প্রণাম জানাইবেন ও ??