পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত আপনার ও স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষা করিয়াছিলেন, যিনি সম্প্রতি সম্রাটের অধীনতা স্বীকার করিয়া যুদ্ধে যথেষ্ট সহায়তা করিয়াছেন, ধিনি মহারাষ্ট্রদেশ হইতে সম্রাটকে দর্শন করিতে দিল্লী পৰ্য্যস্ত জাসিয়াছেন, লম্রাটু তাহাকে কিরূপে আহবান করিলেন ? শিবজী অল্প একজন সামান্ত কৰ্ম্মচারীর ন্তায় নম্রভাবে রাজসদনে দণ্ডায়মান ! শিবাজীর ধমনীতে উষ্ণ শোণিত বহিতে লাগিল, কিন্তু এক্ষণে তিনি নিরুপায় । সামান্ত রাজকৰ্ম্মচারীর ন্তায় সম্রাট কে “তগলীম” করিয়া রীতিমত "নজর" দান করিলেন। আরংজীবের দূর উদ্বেগু সাধন হইল,—জগৎসংসার জানিল, শিবাজী জানিল, শিবাজী ও আরংজীব সমকক্ষ নহেন, দাসের প্রভুর সহিত, ক্ষীণের বলিষ্ঠের সহিত যুদ্ধ করা মূখতা। এই উদেখলাধনার্থ অণরংজীব “নজর” গ্রহণ করিয়া, কোনও বিশেষ সমাদর না করিয়া শিবঙ্গীকে “পাচহাজারী” অর্থাৎ পঞ্চ সহস্ৰ সেনার সেনাপতিদিগের মধ্যে স্থান দিলেন । শিবন্ধীর নয়ন তখন অগ্নিবৎ প্রজ্জ্বলিত হইল, শরীর কম্পিত হইতে লাগিল । তিনি ওষ্ঠের উপর দস্তস্থাপন করিয়া অস্পষ্টস্বরে বলিলেন,—শিবজী পাঁচহাজারী ? লম্রাট, যখন মহারাষ্ট্রে যাইবেন, দেখিবেন, শিৰজীর অধীনে কত জন পাচহাজারী আছে ; দেখিবেন, তাহার: দুৰ্ব্বল হন্তে অলিধারণ করে না ! আবশ্বকীয় কার্য) সম্পাদন হইলে সভাভঙ্গ হইল। সম্রাট, গাত্রোখান করিয়া পাশ্বস্থ উচ্চ শ্বেত প্রস্তরবিনিৰ্ম্মিত বেগম মহলে ধাইলেন। তখন নদীর স্রোতের ন্তায় দুর্গ হইতে অসংখ্য লোকস্রোত নির্গত হইতে লাগিল। যে যাহার আবাসস্থানে যাইল, সাগরের স্থায় বিস্তীর্ণ দিল্লীনগরে অচিরে লোকস্রোত লীন হইয়া গেল। শিৰঞ্জীর আবালের জন্য একটি বট নির্দিষ্ট হইয়াছিল। রোষে,