পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ»ዓo মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত মন্সবদার বহুলোক-সমন্বিত হইয়া মহাসমারোহে হুষ্ঠী বা অশ্ব বা শিবিকায় আরোহণ করিয়া যাইতেছেন। সৈনিক পুরুষগণ হান্তকৌতুক করিতে করিতে পথ অতিবাহন করিতেছে, ৰিক্রেতৃগণ আপন আপন পণ্যদ্রব্য মস্তকে লইয়া চীৎকার করিয়া যাইতেছে। এতদ্ভিন্ন অন্তান্ত সহস্ৰ লোক সহস্র কার্য্যে জলের স্রোতের ন্তায় যাতায়াত করিতেছে । ক্রমে এই জনস্রোত হ্রাস পাইতে লাগিল। দিল্লীর অসংখ্য দোকানদfর আপন আপন দোকান বন্ধ করিতে লাগিল । নগরের অনন্ত কলরৰ ক্ৰমে ক্রমে থামিয়া গেল, দুই একটি বাটীর গবাক্ষভিতর হইতে দীপশিখা দেখা যাইতে লাগিল, দূরস্থ অট্টালিকাগুলি ক্রমে অন্ধকারে আবৃত হইতে লাগিল। আকাশে দুই একটি তারা দেখা দিল, পশ্চিমদিকে রক্তিমাছটা আর নাই। শিবজী পূৰ্ব্বদিকে চাছিলেন, দেখিলেন, শাস্ত বিস্তীর্ণ দিগন্ত-প্ৰৰাহিণী যমুনা নদী সাস্থংকালে নিপ্তব্ধতায় অনস্ত লাগরাভিমুখে ৰহিয়া যাইতেছে । সেই নিস্তব্ধতার মধ্যে জুম্ম। মসজীদ হইতে আজানের পবিত্র শব্দ উখিত হইল, যেন সে গম্ভীর শব্দ ধীরে ধীরে চারিদিকে ৰিস্তীর্ণ হইতে লাগিল, যেন ধীরে ধীরে মানবের মন আকর্ষণ করিয়া গগনে উত্থিত হইতে লাগিল ! শিবাজী মুহূর্তের জন্ত স্তব্ধ হইয়া সেই সায়ংকালীন মুদূর-উচ্চারিত গম্ভীর শব্দ শ্রবণ করিতে লাগিলেন। অন্ধকারে পুনরায় চাহিলেন, কেবল জুম্মা মসজীদের শ্বেত-প্রস্তর-বিনিৰ্ম্মিত গম্বুজগুলি মুনীল আকাশপটে অস্পষ্ট দেখা যাইতেছে, কেবল প্রসাদের রক্তবর্ণ উন্নত প্রাচীর দুরে পর্বতশ্রেণীর মত দৃষ্ট হইতেছে। এতদ্ভিন্ন সমস্ত নগর অন্ধকারে আচ্ছাদিত, নৈশ নিস্তব্ধতায় স্তব্ধ । রজনী গভীর হইল, কিন্তু শিবাজীর চিন্তাস্বত্র এখনও ছিন্ন হইল না, কেন না, অভ পূৰ্ব্বকথা একে একে হৃদয়ে জাগরিত হুইতেছিল।