পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b ԳԵ মহারাষ্ট্র জীৰন-প্রভাত আগন্তুক তাহা গ্রাহ ন করিয়! ধীরে ধীরে গবাক্ষ-ভিতর দিয়া গৃহে প্রবেশ করিলেন, ধীরে ধীরে ললাট ও ভ্ৰযুগলের উপর নৈশ শিশির মোচন করিলেন । শিবজী তীক্ষ্ণ নয়নে দেখিলেন, আগস্থকের মস্তকে জটাজুট, শরীরে বিভূতি, হস্তে বা কোষে অলি বা ছুরিকা কোন প্রকার অস্ত্র নাই। তবে আগন্তুক শিবাজীকে হত্যা করিবার জন্য সম্রাটু-গ্রেরিত চর নছে । তৰে আগন্তুক কে ? তীক্ষুনয়নে অন্ধকার ঘরের ভিতরও শিবজীকে লক্ষ্য করিয়া আগন্তুক বলিলেন,—মহারাজের জয় হউক । অন্ধকারে আগন্তুকের আকৃতি দেখিয়া শিবাজী তাহাকে চিনিতে পারেন নাই, কিন্তু তাহার কণ্ঠশব্দ শ্রবণমাত্র চিনিতে পারিলেন। জগতে প্রকৃত বন্ধু অতি বিরল, বিপদের সময় এরূপ বন্ধুকে পাইলে হৃদয় নৃত্য করিয়া উঠে। শিবাজী সীতাপতি গোস্বামীকে প্রণাম ও লস্নেহে আলিঙ্গন করিয়া নিকটে বসাইলেন, একটি দীপ জালিলেন, পরে ঔৎসুক্য সহ জিজ্ঞাসা করিলেন,—বন্ধুপ্রবর। রায়গড়ের সংবাদ কি ? আপনি তথা হইতে কবে কিরূপে আসিলেন ? এত দূরেই বা কি প্রয়োজনে আলিলেন ? অস্ত নিশীথে গবাক্ষদ্বার দিয়া আমার নিকট আলিবারই বা অর্থ কি ? সীতাপতি। মহারাজ। রায়গড়ের সংবাদ সমস্ত কুশল । আপনি যে সচিবপ্রবরের হস্তে রাজ্যভার স্তস্ত করিয়াছেন, তাহাতে অমঙ্গল হইবার সম্ভাবনা নাই। কিন্তু এ বিষয় আমি বিশেষ জানি না, কেন না, আপনি রায়গড় পরিত্যাগ করিবার পরে অধিক কাল আমি তথায় ছিলাম না। পূৰ্ব্বেই আপনাকে বলিয়াছিলাম, আমার ব্রতসাধনাৰ্থে জামাকে দেশে দেশে পর্যটন করিতে হয়, সেই প্রয়োজনেই মথুরা