পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆե օ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত উৎসাহে, উল্লালে শিবজীর নয়ন জলিতে লাগিল, তিনি বলিলেন, সীতাপতি ! সে ভরসা এখনও লোপ হয় নাই। এখনও আরংজীৰ দেখিবেন, মহারাষ্ট্র-জীবন লোপ পায় নাই । কিন্তু হয় । যে সময়ে আমার বীরাগ্রগণ্য সৈন্তের মোগলদিগের সহিত তুমূল সংগ্রামে লিপ্ত হইবে, সে সময়ে আমি কি দূর দিল্লীনগরে নিশ্চেষ্ট বনিস্বরূপ থাকিব ? সীতাপতি। যবে গগনসঞ্চারী বায়ুকে আরংজীব জালমধ্যে রুদ্ধ করিতে পরিবেন, তখন আপনাকে দিল্লীর প্রাচীরমধ্যে বন্দী রাখিতে পরিবেন, তাহার পূৰ্ব্বে নহে। শিবাজী ঈষৎ হাস্ত করিলেন, পরে ধীরে ধীরে বলিলেন,—তবে বোধ করি, আপনি কোন পলায়নের উপায় উদ্ভাবন করিয়াছেন, তাছাই বলিবার জন্ত এরূপ গুপ্তভাবে অদ্য রজনীতে আমার গৃহে আসিয়াছেন। সীতাপতি। প্রভু তীক্ষুবুদ্ধি, প্রভূর শিকট কিছুই গোপন রাখিতে পারি, এরূপ সম্ভাৰনা নাই । .# শিৰঞ্জী। সে উপায় কি ? সীতাপতি । অন্ধকার রজনীতে প্ৰভু অনায়াসে ছদ্মবেশে গৃহ হইতে বাহির হইতে পারেন, দিল্লীর চারিদিকে উচ্চ প্রাচীর, কিন্তু পুৰ্ব্বদিকে এক স্থানে সেই প্রাচীরে লৌহশলাকণ স্থাপিত হইয়াছে, তদ্বারা প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করা মহারা য় বীরের অসাধ্য নহে। অপর পাশ্বে ক্ষুদ্র তরীতে আট জন মাল্লা আছে, নিমেমমধ্যে মথুরায় পৌছিৰেন। তথায় প্রভুর অনেক বন্ধু আছেন, অনেক হিন্দু দেবালয়ে অনেক ধৰ্ম্মাত্মা পুরোহিত আছেন, তথা হইতে প্ৰভু অনায়াসে স্বদেশে যাইতে পরিবেন । শিবাজী। আমি আপনার উদ্যোগে তুষ্ট হইলাম, আপনি যে প্রকৃত বন্ধু, তাহার আর একটি নিদর্শন পাইলাম। কিন্তু প্রাচীর