পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆab মহারাষ্ট্র জীবন-প্রতাত দীনেশমন । এভু ! পুরস্কার-আশা ও শাস্তি-ভয় ভিন্ন মহষ্য-হৃদয়ে ত অন্ত তাবও আছে। মমুষ্যের মহত্ত্ব আছে, উচ্চাভিলাষ আছে, লিজ সন্মানজ্ঞান আছে ! যে শাস্তিভয়ে কাৰ্য্য করে, সে কোনরূপে কেবল কার্য সমাপ্ত করিয়া নিরস্ত থাকে, কিন্তু যাহাকে আপনি সম্মান করেন, সমাদর করেন, ক্ষমতা দিয়া বিশ্বাস করেন, সে আপনাকে সেই সমাদর ও বিশ্বাসের উপযোগী প্রমাণ করিবার জন্ত প্রভুকার্য্যে নিজের ধন, মান, প্রাণ পৰ্য্যস্ত দান করিয়াছে, এরূপ উদাহরণও শাস্ত্রে দেখা যায়। আরংজীব। দানেশমন্দ । আমি তোমার দ্যায় শাস্ত্রজ্ঞ নছি ঃ কবিতায় -যাহা লিখে, তাহা বিশ্বাস করি না । মানব-প্রকৃতি আমার শাস্ত্র । মানবের মহত্ত্ব আমি অল্প দেখিয়াছি । শঠতা, কপটতা, বিশ্বাসঘাতকতা অনেক দেখিয়াছি, সেই শাস্ত্র পাঠ করিয়া আমি নিজ হস্তে ক্ষমতা রাখিতে শিখিয়াছি। সেই জন্ত কাফেরদিগের উপর জিজিয়া কর স্থাপন করিব, বিদ্রোহোম্মুখ রাজপুতদিগের উপর কঠোর শীলন করিব, মহারাষ্ট্রদেশ নিঃশক্র করিব, বিজয়পুর, গলধন্দ জয় করিব, হিমালয় হইতে সমুদ্র পর্য্যন্ত একাকী শালন করিব । কাহারও সহায়তা লইব না, আলমগীর নিজের নাম লার্থক করিবে । উৎসাহে সম্রাটের নয়ন উজ্জল হইয়াছিল। তিনি মনের গভীর অভীষ্ট কখন কাহারও নিকট প্রকাশ করিতেন না, অস্ত কথায় কথায় অনেকটা হঠাৎ প্রকাশ করিয়া ফেলিয়াছেন। এতদ্ভিন্ন তিনি দানেশমন্দের উদার চরিত্র জানিতেন, তাহার নিকট দুই একটি কথা কহিলে কোনও হানি নাই, জানিতেন। ক্ষণেক পর ঈষৎ হাস্ত করিয়া আরংঞ্জীৰ বলিলেন,—লরলস্বভাৰ ৰন্ধু । অস্ত আমার অভীষ্ট ও মন্ত্রণা কিছু কিছু বুঝিতে পারিলে ? তীক্ষুবুদ্ধি আরংজীব যদি আপনার গভীর মন্ত্রণা কিয়দংশ ত্যাগ করিয়া