পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪০ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত রামসিংহ। মঙ্গুষ্যের যাহা সাধ্য, পিতা তাহা করিবেন। শিবাজী পূৰ্ব্বে পরাপ্ত হন নাই, পিতা তহ্যকে পরাস্ত করিয়াছেন ; বিজয়পুর পূৰ্ব্বে আক্রান্ত হয় নাই, পিতা সেই নগর আক্রমণ করিয়াছেন ; এখন আপনার নিকট অল্পমাত্র সৈন্য-সহায়তা প্রার্থল করিতেছেন। তাহা হইলে সমস্ত কাৰ্য্য শেষ হয়, দক্ষিণদেশে মোগল-সাম্রাজ্য বিস্তৃত ও দৃঢ়ীভূত হয় । এরূপ অবস্থায় অন্য কোন সম্রাট সেই সহায়তা প্রেরণ করিয়া দাক্ষিণাত্যদেশ-বিজয়কাৰ্য্য সাধন করিতেন। অবংজীব আপনাকে বহুদশী ও তীক্ষুবুদ্ধি মনে করিতেন, তিনি সে সহায়তা প্রেরণ করিলেন না। বলিলেন,—রামসিংহ । আপনার পিতা আমাদের সুহৃদ প্রবর, তাহার বিপদের কথা শুনিয়া যৎপরোনাস্তি শোকাকুল হইলাম। র্তাহাকে পত্র লিখিবেন যে, তিনি নিজের অসাধারণ বাহুবলে জয়গাধন করিবেন, সম্রাটু দিবানিশি এইরূপ আকাজ করেন। কিন্তু এখন দিল্লীতে সেনাসংখ্যা অতি অল্প, আমি সহায়তা প্রেরণ করিতে অক্ষম। রামসিংহ কাতর স্বরে বলিলেন,—জহাপনা । পিতা দিল্লীশ্বরের পুরাতন দাল, আপনার কালে, আপনার পিতার কালে অসংখ্যক যুদ্ধে যুঝিয়াছেন, অনেক কাৰ্য্যসাধন করিয়াছেন, দিল্লীশ্বরের কার্য্যসাধন ভিন্ন তfহার জীবনের অন্ত উদেখা নাই। এই ঘোর বিপদে আপনি কিঞ্চিৎ সাহায্যদান না করিলে তিনি বোধ হয়, সলৈন্তে নিধন প্রাপ্ত হইবেন। বালক জানিত না যে, তাহার কাতরস্বরে ও অশ্রুজলে অfরংজীবের গভীর উদ্দেশ্য, গৃঢ়মন্ত্রণ। বিচলিত হয় না । সে উদ্দেশ্য, সে মন্ত্রণ। কি ? রাজা জয়সিংহ অতিশয় ক্ষমতাশালী, প্রতাপাম্বিত সেনাপতি,