পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০২ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত জীৰিত থাকিলে উদ্দেপ্তসাধনে প্রতিবন্ধক হইতে পারে। জল্লাদ ! তাছাকে সরাইয়া সম্রাটু আলমগীরের পথ পরিষ্কার করিয়া দাও ! মন্ত্রণাসাধনের জন্ত অদ্য আবশ্বক যে জয়সিংহ সসৈন্তে হত হইলেন। তিনি ভাল কি মন্দ, বিশ্বাসী কি বিদ্রোহী, অমুসন্ধানে আবখ্যক-নাই, তিনি সসৈন্তে মরিবেন! এই পরিচ্ছেদ বিবৃত সময়ের পর কয়েক মাসের মধ্যেই দিল্লীতে সংবাদ অলিল, আবমানিত অকৃতাৰ্থ জয়সিংহ প্রাণত্যাগ করিয়াছেন । তখনকার ইতিহাস-লেখক কেছ কেহ সন্দেহ করিয়াছেন, লম্রাটের আদেশে বিষপ্রয়োগে জয়সিংহের মৃত্যু হয় । অনেকক্ষণ পর দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া রামসিংহ বলিলেন,—প্ৰভু ! আমার একটি যাচঞা আছে । আরংজীব। নিবেদন করুন। রামসিংহ। শিবজ যখন দিল্লী আগমন করিয়াছিলেন, পিতা তাহাকে ৰাক্যদান করিয়াছিলেন যে, দিল্লীতে শিবঞ্জীর কোন আপদ ঘটবে না। আরংজীব। আপনার পিতা লে কথা আমাদের অবগত করাইয়াছেন। রামসিংহ । রাজপুতদিগের মধ্যে বাক্যদান করিয়া তাহ লঙ্ঘন হইলে অতিশয় নিন্দার বিষয় । পিতার প্রার্থনা ও দাসের প্রার্থনা ষে, শিৰঞ্জীর যে কোনও দোষ হইয় থাকে, প্ৰভু ক্ষমা করিয়া তাহাকে विलांब नेिन । আরংজীব ক্ৰোধ লম্বরণ করিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন,—সম্রাটের যাহা উচিত কাৰ্য্য, সম্রাটু তাহা করিবেন, সে বিষয়ে আপনি চিস্তিত হইবেন না। শিৰজী নামে দ্বিতীয় একটি কীট সম্রাটের লেই বিস্তীর্ণ মন্ত্রণ জালে পতিত হইয়াছেন, দানেশমন ও রামসিংহ তাহাকে উদ্ধার করিতে পারিলেন না !