পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६३७ মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত বালিক। বরের চেয়ে আমাকে অধিক ভালবাসবি ? দাসী হাস্ত করিয়া বলিল,—সমান সমান। . বালিকা। তোমার বর কৰে আসূবে দিদি ? দাসী । ভগবান জানেন ছাড়, রান্নার বেলা হইয়াছে, আমি याऐ । পাঠককে বলা অনাবশ্যক যে, অনাধিনী সরযূবালা জগতে আর স্থান ন পাইয়। একজন কৃষকের বাটতে দাসীবৃত্তি স্বীকার করিয়াছিলেন। কৃষকের কিছু সম্পত্তি ছিল, মহাজনী ছিল, নাম গোকৰ্ণনাথ। গোকর্ণের আন্ত:করণ সরল ও স্নেহযুক্ত, নিরাশ্রয় রাজপুতকস্তাকে নিজের বাটতে অtশ্রয় দিতে স্বীকার করিলেন। গোকর্ণের গৃহিণীও স্বামীর উপযুক্ত, নিরাশ্রয় ভদ্র রাজপুতকস্তাকে দেখিয়া অবধি নিজের কন্যার দ্যায় লালনপালন করিতেন । সংযুও কৃতজ্ঞ হইয়। গোকৰ্ণ ও তাহার স্ত্রীর যথোচিত সমাদর করিতেন, নিজে দুই বেলা অন্ন প্রস্তত করিতেন, বালিকার তত্ত্বাবধারণ করিতেন, সুতরাং কৃষক ও কৃষক-পত্নীর কাৰ্য্যের অনেক লাম্বব হইল, তাছারাও দিন দিন সরযুর উপর অধিক প্রগন্ন হইতে লাগিলেন । রঘুনাথের অধৰ্বমানে যদি সংযুর কোথাও মুখের সম্ভাবনা থাকিত, ভবে উদারস্বভাৰ গোকৰ্ণনাথ ও র্তাহার সরলা গৃহিণীর বাটতে থাকিয়া সরযু পরম মুখলাভ করিতে পারিতেন। গোকর্ণের বন্ধঃক্রম ৪৫ বৎসর হইবে, কিন্তু চিরকাল নিয়মিত পরিশ্রম করিতেন বলিয়া এখনও শরীর সুবদ্ধ ও বলিষ্ঠ । গোকর্ণের একটি পুত্র শিবজীর সৈনিক, বহুদিন অবধি বাট ত্যাগ ৰুরিয়াছে । শেষে যে একটি কন্যা হইয়াছিল, পিতামাতা উভয়েই তাহাকে ভালবাসিতেন। প্রাতঃকালে গোকর্ণ কৃষিকার্য্যে বা অন্ত কাৰ্য্যে বাহির হইয়া যাইতেন, সরযু গৃহের সমস্ত