পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৩৯

३३bv মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত গোকর্ণের কথা শুনিতে লাগিলেন । গোকৰ্ণ বলিতে লাগিলেন,—ষে দিন রঘুনাথকে বিদ্রোহী বলিয়া শিবজী দূর করিয়া দেন, সে দিন পুত্র আমাদের কি বলিয়াছিল, মনে আছে ? গৃহিণী। আমি মেয়েমানুষ, আমার কি অত মনে থাকে ? গোকর্ণ। পুত্র বলিয়াছিল,— পিতা, আমি হাৰিলদারকে চিনি, তাহার দ্যায় বীর শি জীর সৈন্তে আর নাই। কি ভ্ৰমে পতিত হইয়া রাজ্য তাছার অবমাননা করিলেন, পশ্চাৎ জানিবেন, তখন তিনি রঘুনাথের গুণ জানিতে পরিবেন । পু(এর কথা এত দিলে সত্য হইল । সরযুর হৃদয় উল্লাসে, উদ্বেগে দুরু দুরু করিতে লাগিল, তাছার মস্তক হইতে স্বেদবিন্দু বহির্গত হইতে লাগিল। গোকৰ্ণনাথ বলিতে লাগিলেন,—রঘুনাথজী ছদ্মবেশে রাঙ্গর সঙ্গে সঙ্গে দিল্লী গিয়াছিলেম, আপন বুদ্ধিকৌশলে রাজাকে উদ্ধার করিয়াছেন, সম্পূর্ণরূপে আপন নির্দোষিত প্রমাণ করিয়াছেন। শুনিয়াছি, শিবজী রঘুনাথের নিকট আপন দোষের ক্ষমা চাহিয়াছেন, রঘুনাথকে ভ্রাতা বলিয়া আলিঙ্গন করিয়াছেন, হাৰিলদারের পদ হইতে একেবারে পাঁচহাজারী করিয়া দিয়াছেন। সহরে অন্ত কথা নাই, হাটে-বাজারে অন্ত কথা নাই, গ্রামে অন্ত কথা নাই, কেবল রঘুনাথের বীরত্ব-কথা শুনিয়া সকলে জয় জয় নাদে ধন্তবাদ দিতেছে। আনন্দে, উল্লাসে সরযু উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিয়া মূচ্ছিত হইয়া ভূমিতে পতিত হইলেন। ജ്ജുണ്ടമ്മ:ജ്ജ