পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇరిరి মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত অপরাহ্লে গৃহকাৰ্য্য সমাপন করিয়া নদীকূলে দণ্ডায়মান হুইয়া নয়ন দুইটি সুর্য্য-উত্তাপ হইতে হস্ত দ্বারা আবরণ করিয়া নদীর অপর পার্শ্বে ৰহুদুর পর্য্যস্ত চাহিয়া থাকিতেন ; আবার সন্ধ্যার সময় দূরে বংশীধ্বনি হইলে চকিত যুগের দ্য য় লহলা চমকিয়া উঠিতেন । গোকর্ণের কন্যা পর্যন্ত সরযুর এই পরিবর্তন দেখিতে পাইল । একদিন সন্ধ্যার সময় নদীর ঘাটে যাইবার সময় কন্ত। জিজ্ঞাসা করিল,— দিদি, দিন দিন তোর রূপ কেমন ফুটে বেরুচ্ছে । সরঘু। কে বলিল ? বালিকা। বলিবে কে ? আমি বুঝি দেখিতে পাই না ? সরযু। না, ও তোমার দেখিবার ভূল । বালিকা। ই ভুল বৈ কি ? আর আগে মাথায় কিছু থাকিত মা, এখন মধ্যে মধ্যে চুলের ভিতর ফুল গোজা হয়, তা বুঝি আমি দেখিতে পাই না ? সরযু। দূর । ৰালিকা। আর লুকাইয়া লুকাইয়। গলায় একটি কণ্ঠমাল পরা হয়, তাহাতে দুইটি করিয়া মুক্তা, একটি করিয়া পলা, তা বুঝি আমি দেখিতে পাই না 7 সরযু দুর ! বালিকা। আর নদীর তীরে অনেকক্ষণ ধরিয়া মুন্দর মুখখানি জলে দেখা হয়, তা বুঝি আমি দেখি না ? সরযু। মিথ্যা কথা বলিও না । ৰালিক। আর গাছতলায় লুকাইয়া মধ্যে মধ্যে কুহুম্বরে গান করা হয়, তাছা বুঝি আমি শুনি না ? লরযু এবার আসিয়া বালিকার মুখ চাপিয়া ধরিল।