পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y 8 মহারাষ্ট্র জীবন-প্ৰ ভাত স্তিমিত আলোকে সেই অপূৰ্ব্বদৃষ্ট রাজপুতকস্তার দিকে চাছিয়াছিলেন ; তাহার হৃদয় পূৰ্ব্বে অণমুভূত আনন্দস্রোতে সিক্ত হইতেছিল। কন্যা ফুল তুলিয়া গৃহে যাইবার উপক্রম করিতেছেন, এমন সময়ে দেখিলেন, অনতিদূরে একজন দীর্ঘকায় রাজপুত যুবক তাহার দিকে অনিমেষলোচনে দেখিতেছেন । ঈষৎ লজ্জায় কস্তার মুখ রঞ্জিত হইল, তিনি মুখ অবনত করিলেন । আবার চাছিয়া দেখিলেন। যুবক তখনও দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, গুচ্ছ গুচ্ছ কৃষ্ণকেশ যুবকের উন্নত ললাট ও জ্যোতিঃপূর্ণ নয়নদ্বয় আবৃত করিয়াছে, কোযে খড়গ, দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘ বশ । যুবক অনিমেষলোচনে তখনও ভঁাছারই দিকে চাহিয়া রহিয়াছেন । বহুদিন পরে একজন দেশীয় ধোদ্ধাকে এই মহারাষ্ট্র-দুর্গে দেখিয় রাজপুতবালা প্রথমে বিস্মিত হইলেন, যুবকের আকৃতি ও উজ্জল গৌন্দর্য্য দেখিয়া তিনি চকিত হইলেন, মুখমণ্ডল নত করিয়া ফুলের সাজি লইয়া গৃহের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তখন রঘুনাথ যেন চৈতন্ত প্রাপ্ত হইলেন। মন্দিরের পুরোহিতের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্ত ধীরে ধীরে চিস্তিতভাবে মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিলেন ও পুরোহিতের জন্ত অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। এই অবসরে আমরা পাঠককে পুরোহিতের পরিচয় দিব । পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, পুরোহিত অম্বরদেশীয় উচ্চকুলোদ্ভব রাজপুত ব্রাহ্মণ । তাহার নাম জনাৰ্দ্দন দেব। তিনি আম্বরের প্রসিদ্ধ রাজা জয়সিংহের একজন সভাসদ ছিলেন, পরে শিবাজীর বহু অনুরোধে, জয়সিংহের অনুমতানুসারে শিবজীর সর্বপ্রথম বিজিত তোরণদুর্গে আগমন করেন । তাছার পুলকস্তা কেহই ছিল না, কিন্তু স্বদেশত্যাগের অচিরকাল পূৰ্বেই তিনি এক ক্ষত্রিয়কস্থার লালনপালনের তার লইয়াছিলেন । কস্তার পিতা জনাৰ্দ্দনের আশৈশব পরমবন্ধু ছিলেন, কস্তার