পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

歌梯日 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত অণর অধিক জীবিত থাৰি বার সময় নাই, মন দিয়া আমার কথাগুলি শুন । জন্ম অবধি তুমি আমার পরম শুক্র, আমিও তোমার পরম শত্রু। বাল্যকালে তোমাকে আমি বিষচক্ষুতে দেখিতাম, সংস্রবার প্রস্তরের উপর তোমার মস্তক আঘাত করিবার স্বল্প মনে উদয় হইয়াছে। তাছা করি নাই, বিস্তু তোমার বিষয় নাশ করিয়াছি, তোমাকে দেশত্যাগী করিয়াছি, তোমাকে বিদ্রোহী বলিয়। অপমানিত ও দূরীকৃত করিয়াছি। চন্দ্ররাওয়ের ভীষণ aিঘtংলা তাহাতে কিয়ৎ পরিমাণে শাস্ত হইয়াছিল। তোমার ভাগ্য মন, পুনরায় উন্নত-পদ লাভ করিয়া সৈন্তমধ্যে অষ্টিয়াছ । চন্দ্ররাওয়ের স্থিরপ্রতিজ্ঞা জীবনে কখনও নিষ্ফল হয় নাই, এখনও হইবে না। অন্ত উপায় ত্যাগ করিলাম, এই অলি দ্বার) তোমার হৃদয় বিদ্ধ করিব, হৃদয়ের শোণিত পান করিয়া এ ভীষণ পিপাসা নিৰ্ব্বাণ করিব। ভীরু । অল্প আমার হস্তে রক্ষা নাই। রোষে রঘুনাথের নয়ন অগ্নিবৎ জলিতেছিল, কম্পিতস্বরে বলিলেন,—পামর । সম্মুখ হইতে দূর হ, নচেৎ আমি পবিত্র প্রতিজ্ঞ। বিশ্বত হইৰ, তোর পাপের দণ্ড দিব । চঞ্জরাও । ভীরু ! এখনও যুদ্ধে পর্যন্মুখ ? তবে আরও শোন! উজ্জয়িনীর যুদ্ধে যে তীরে তোর পিতার হৃদয় ৰিদীর্ণ হুইয়াছিল, সে শত্ৰু-মিক্ষিপ্ত নহে, চন্দ্ররাও তোর পিতৃহস্তী ! রঘুনাথ আর নয়নে কিছু দেখিতে পাইলেন না, কৰ্ণে শুনিতে পাইলেন না, রোষে অলি নিক্ষোধিত ৰরিয়া চন্দ্ররাওকে আক্রমণ কল্পিলেন। চন্দ্র রাও ক্ষীণহস্তে অলিধারণ করেন নাই, অনেকক্ষণ যুদ্ধ হইল, উভয়ের অসিতে উভয়ের ঢাল ক্ষত হইল, শরীর ক্ষত-বিক্ষত হইয়া গেল, বর্ষার ধারার স্থায় উভয়ের শরীর দিয়া রক্ত বহিতে লাগিল । চন্দ্ররাও বলে নূ্যন নহেন, কিন্তু রঘুনাথ দিল্লীতে চমৎকার অসিযুদ্ধ শিক্ষা