পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত Ե Յ: মাতাও জনাৰ্দ্দনের স্ত্রীকে ভগিণী সম্বোধন করিতেন । কন্যার পিতামাতার কাল হওয়ায় নি:সস্তান জনাৰ্দ্ধন ও উiহার গৃহিণী ঐ শিশু ক্ষত্ৰিয়বালার লালন-পালনভার লইলেন, ও তোরণদুর্গে আসিয়া সেই শিশুকে অপত্যনির্বিশেষে পালন করিতে লাগিলেন । পরে জনাৰ্দ্দনের স্ত্রীর কাল হইলে কষ্ট সংযু ভিন্ন বুদ্ধের স্নেছে? দ্রব্য আর কেহ রছিল না, সরযূবালাও জনাদনকে পিত। বলিয়া ৬াকিতেন ও ভালবাসিতেশ । কfলক্রমে সরযুবালা নিরুপমা লাবণ্যবতী হইয়া উঠিলেন, মুতরাং দুর্গের সকলে শাসঙ্গ ব্রাহ্মণ জনাৰ্দ্দনকে বধ মুনি ও তাছার পালিতা নিরুপমা লাবণ্যময়ী ক্ষত্ৰিয়বালাকে শকুন্তলা বলিয়া পরিহাস করিতেন। জনাৰ্দ্দনও কস্তার পৌন্দর্ঘ্যে ও গেছে পরিতুষ্ট হইয়। রাজস্থান হইতে নিৰ্ব্বাসনের দুঃখ বিস্তুত হইলেন । দেবালয়ে রঘুনাথ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিলে পর ও নাৰ্দ্ধন দেবমন্দিরে প্রবেশ করিলেন । র্তাহার বয়স পঞ্চাশত বৎসর হইয়াছে, অবয়ব দীর্ঘ ও এখমও বলিষ্ঠ, চক্ষুদয় শান্তির পূর্ণ, বক্ষঃস্থল বিশাল, বাহুদ্বয় দীর্ঘ ও বলিষ্ঠ। জনাদনের বর্ণ গৌর এবং স্কন্ধ হইতে যজ্ঞেপবীত লম্বিত রহিয়ছে। পূজকের পবিত্র মণ ও সমল হৃদয় তাহার মুখ দেখিলেই বোধগম্য হইত। ওনাদন ধীরে ধীরে মন্দিরে প্রবেশ করিলেন, তাহাকে দেখিয়া রঘুনাথ সশস্ত্রমে আসনত্যাগ করিয়া গাত্ৰোখান করিলেন । সংক্ষেপে মিষ্টtলাপ করিয়া উভয়ে আসল গ্রহণ করিলেন ও জনাৰ্দ্দন শিবজীর কুশলসংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন। রঘুনাথ যতদূর পাধিলেন যুদ্ধের বিবরণ বলিলেন, ও শিবঞ্জীর প্রণাম জানাইয়। পূজকের হস্তে কয়েকটি স্বৰূর্ণমুদ্রা দিয়া বলিলেন,—প্রভুর প্রার্থন যে, তিনি এক্ষণে মোগলদিগের সহিত রণে নিযুক্ত হইয়াছেন, আপনি তঁtছর জয়ের