পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

을 하 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত দিন, রঘুনাথ সৈনিকের ব্ৰত ত্যাগ করিবে, পুনরায় গোস্বামী হুইয়৷ দেশে দেশে ভিক্ষা করিতে থাকিবে । শিবাজী ক্ষণেক নিস্তন্ধ ও নিম্পদ হইয়া রছিলেন। তখন একজন অমাত্য নিকটে আলিয়া কাণে কাণে জানাইল, চন্দ্ররাও রঘুনাথের ভগিনীপতি, সেই জন্ত রঘুনাথ ভগিনীপতির প্রাণভিক্ষা করিতেছেন। তখন বিশ্বয়পূর্ণ হইয়া শিবজী চন্দ্ররাওকে খালাল দিবার আদেশ করিলেন । শেষে বজ্রনাদে বলিলেন,—যাও চন্দ্ররাও, শিবাজীর রাজ্য হইতে বহিষ্কৃত হও। অন্ত দেশে যাও, অন্ত আত্মীয়-কুটুম্বকে বধ কর, অস্ত মিত্রের সর্বনাশ-লাধন কর, শত্রুর নিকটে উৎকোচ গ্রহণ, ষড়যন্ত্র ও বিদ্রোহীচরণ করিতে করিতে পাপ জীবনের অবশিষ্ট ভাগ সমাপ্ত কর। চন্দ্ররাও ভীরু নহেন। ধীরে ধীরে ক্রোধ-জর্জরিত শরীরে রঘুনাথের নিকট যাইয়া বলিলেন,—বালক ! তোর দয়া আমি চাহি না, তোর দেওয়া জীবন আমি তুচ্ছ জ্ঞান করি। পরক্ষণেই আপন ছুরিকা নিজ বক্ষঃস্থলে স্থাপন করিয়া অভিমানী ভীষণপ্রতিজ্ঞ চন্ত্ররাও জুমলার আপনার চিরনিদ্ধতি সাধন করিলেন। জীৰনশুন্ত দেহ সভাস্থলে পতিত হইল ।