পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R & 8 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত সাশ্রনয়নে রঘুনাথ বলিলেন,—প্রাণের ভগিনী লক্ষ্মী, আমি তোমার সঙ্গে এ সময়ে দেখা না করিয়া কি থাকিতে পারি ? লক্ষ্মী অঞ্চল দিয়া রঘুনাথের চক্ষের জল মোচন করিয়া বলিলেন,— সত্য ভাই, তোমার দয়ার শরীর, তুমি হৃদয়েশ্বরের জন্ত রাজার নিকট মে আবেদন করিমুগছিলে, শুনিয়াছি । আমার ভাগ্যে যাহা ছিল, তাছা হইয়াছে, জগদীশ্বর তোমাকে হুখে রাখুন। রঘুনাথ। লক্ষ্মী । তুমি বুদ্ধিমতী আমি চিরকালই জানি, এ অলহ শোক কথঞ্চিৎ সম্বরণ করিয়াছ দেখিয়া তুষ্ট হইলাম । মহুষ্যের জীবন শোকময়, তোমার কপালে যাহা ছিল ঘটিয়ছে, সে শোক সহিষ্ণু হইয়া বহন কর। আইল, আমার গৃহে আইল, ভ্রাতার ভালবাসা ভ্রাতার যত্বে যদি সন্তোষ দান করিতে পারে, লক্ষ্মী, আমি ক্রটি করিব না ! h লক্ষ্মী একটু গলিলেন। সে হান্ত দেখিয়া রঘুনাথের প্রাণ শুকাইয়া গেল। ঈষৎ হাসিয়া লক্ষ্মী বলিলেন,—ভাই, তোমার দক্ষার শরীর, কিন্তু সূক্ষ্মীকে জগদীশ্বরই স্বয়ং সান্থনা করিয়াছেন, শাস্তির পথ দেখাইয়। দিয়াছেন, হৃদয়েম্বর চিরনিদ্রায় নিদ্রিত রছি মাছেন, তিনি জীবদ্দশায় দাসীকে অতিশয় ,ভালবাসিতেন, দাসী জীবনে তাহার প্রণয়িনী ছিল, মরণে তাহার লঙ্গিনী হইবে। রঘুনাথের মস্তকে বজ্ৰাঘাত হইল। তখন তিনি লক্ষ্মীর ভাবপরিবর্তনের কারণ বুঝিতে পারিলেন, লক্ষ্মীর শাস্তভাবের হেতু বুঝিতে পারিলেন। লক্ষ্মী সহমরণে স্থিরসঙ্কল্প হইয়াছেন। তখন রঘুনাথ অনেকক্ষণ অবধি লক্ষ্মীর প্রতিজ্ঞাভঙ্গের চেষ্টা করিলেন, অনেক বুঝাইলেন, অনেক ক্ৰন্দন করিলেন, এক প্রহর রজনী পৰ্য্যস্ত লক্ষ্মীর সহিত তর্ক করিলেন । ধীর, শাস্ত লক্ষ্মীর