পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/২৬৭

는 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত প্রণয় আর কি আছে ? স্নেহময়ী ভগিনীর ন্যায় অমূল্য রত্ন এ বিস্তীর্ণ জগতে আর কোথায় যাইলে পাইৰ ? রজনী দ্বিপ্রহরের সময় চিত। প্রস্তুত হইল। চন্দ্ররাওয়ের শৰ তাহার উপর স্থাপিত হইল। হান্ত বদন লক্ষ্মী সুন্দর পট্টবস্ত্র অলঙ্কারাদি পরিধান করিয়া একে একে সকলের নিকট বিদায় লইলেন। লক্ষ্মী চিতাপার্শ্বে আসিলেন, দাগীদিগকে অলঙ্কার, রত্ন, মুক্ত বিতরণ করিতে লাগিলেন, স্বহস্তে তাহাদিগের নয়নের জল মোচন করিয়া মধুর বাক্যে সত্ত্বনা করিতে লাগিলেন। জ্ঞাতি-কুটুম্বিনীদিগের নিকট বিদায় লইলেন, গুরুদিগের পদধূলি লইলেন। সকলের নয়নের জল অঞ্চল দিয়া মুছাইঞ্জা দিলেন, মধুময় ৰাক্য দ্বারা সকলকে প্রৰোধ দিলেন । শেষে লক্ষ্মী রঘুনাথের নিকট আসিলেন, বলিলেন,—ভাই ! বালাকাল অবধি তোমার লক্ষ্মীকে বড় ভালবালিতে, অঙ্ক লক্ষ্মী ভাগ্যবর্তী, অন্ত চিরমুখী হইবে, একবার ভালবাসার কাজ কর, সস্নেহে কনিষ্ঠ ভগিনীকে বিদায় দাও, তোমার লক্ষ্মীকে বিদায় দাও। রঘুনাথ আর সহ করিতে পারিলেন না, লক্ষ্মীর দুটি হাত ধরিয়া ৰালকের ন্তায় উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিয়া উঠিলেন। লক্ষ্মীরও চক্ষুতে জল অলিল । সস্নেহে ভ্রাতার চক্ষুর জল মুছাইস্থা লক্ষ্মী বলিতে লাগিলেল,—ছি তাই, শুভকার্য্যে চক্ষুর জল ফেল কি জন্ত ? পিতার ন্যায় তোমার সাহস, পিতার দ্যtয় তোমার মহৎ অস্তঃকরণ, জগদীশ্বর তোমার আরও সন্মান বৃদ্ধি কৱিৰেন, জগৎ তোমার যশে পূর্ণ হইবে। লক্ষ্মীর শেষ বাসন এই, জগদীশ্বর মেন রঘুনাথকে মুখে রাখেন। ভাই, বিদায় দাও, দাগীর জন্ত স্বামী অপেক্ষা করিতেছেন।