পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত הל( সরিয়া গেলেন। রঘুনাথও যৎপরোনাস্তি লজ্জিত হইয়া অধোবদন হইলেন। হস্তমুখ প্রক্ষালনের জন্ত সরযু জল আনিয়া দিলেন। রঘুনাথ বৰ্ব্বর নছেন, এবার তিনি মুখ অবনত করিয়া রছিলেন, কেবল সরযুর মুন্দর সুবর্ণবলয়-বিজড়িত হস্ত ও কঙ্কণ-বিজড়িত স্বগোল বাহুমাত্র দেখিতে পাইলেন। একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। রঘুনাথের শয্যরচনা হইল। রঘুনাথ শয়ন করিলেন না, ঘরের দ্বার ধীরে ধীরে উদঘাটন করিয়া নক্ষত্রালোকে সেই পুষ্পোপ্তানে পদচারণ করিতে লাগিলেন । সেই গম্ভীর অন্ধকারে নক্ষত্রবিভূষিত নৈশ আকাশের দিকে স্থিরদৃষ্টি করিয়া অল্পবয়স্ক যোদ্ধা কি চিস্তা করিতেছেন ? নিশার ছায়া ক্রমে গতীয়তর হইতেছে, সেই মুস্নিগ্ধ ছায়ায় মমুষ্য, জীব, জস্ত, সমগ্র জগৎ স্বপ্ত হইয়াছে। দুর্গে শব্দমাত্র নাই, কেবল মধ্যে মধ্যে প্রহরিগণের শব্দমাত্র শুনা যাইতেছে, ও প্রহরে প্রহরে ঘণ্টারব সেই নিস্তব্ধ দুর্গে ও চতুৰ্দ্দিকস্থ পৰ্ব্বতে প্রতিহত হইতেছে। এ গভীর অন্ধকার রজনীতে রঘুনাথ অনিদ্র হইয়া কি চিন্তা করিতেছেন ? রঘুনাথ অঙ্ক কেন সেই উদ্যানে পদচারণ করিতেছেন, তাহ রঘুনাথ জানেন না। এতদিন রঘুনাথ বালক ছিলেন, আদ্য যেন লহল! তাহার শাস্ত, নীল জীবনাকাশের উপর একটি নূতন আলোক উদিত ছইল, তাহার স্বপ্ত চিন্তা ও বেগবতী মনের বৃত্তি সহসা জাগরিত হইল । শতবার সেই রাজপুতবালার আনন্দময়ী মূৰ্ত্তি র্তাহার মনে আসিতে লাগিল, সেই আলেখ্যলিখিত ক্রযুগল, সেই পুপৰিনিন্দিত মধুময় ওষ্ঠ, সেই নিবিড় কেশপাশ, সেই মুগোল বাহুযুগল, সেই আয়ত স্নেহপূর্ণ নয়ন, সেই চিত্তহারী অতুল লাবণ্য। রঘুনাথ। এ স্বন্দরী কি তোমার