পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রতাত ՀՉց: সেনা । বাদ্যকর দশ জন ও অস্ত্রবারী ত্রিশ জন, ইহার অধিক অমুমতি পাইলাম না । ব্রাহ্মণ । এই যথেষ্ট, কোন সময়ে ? সেন। রজনী এক প্রহর । ব্রাহ্মণ । ভাল, এই দিক হইতে বরযাত্র আরম্ভ হইৰে । সেনা । স্মরণ অাছে। ব্ৰাহ্মণ । বাদ্যকরের সজোরে বাদ্য করিবে । সেনা । স্মরণ অাছে । ব্রাহ্মণ । জ্ঞাতি-কুটুম্ব যত পরিবে, জড় করিবে । লেন । স্মরণ অাছে। ব্রাহ্মণ তখন অল্প হান্ত করিয়া বলিলেন,—আমি সেই শুভকার্যের পুরোহিত ! সে শুভকার্য্যের ঘট। সমস্ত ভারতবর্ষে রাষ্ট্র হইবে। সহস সজোরে নিক্ষিপ্ত একটি তীর আসিয়া ব্রাহ্মণের বক্ষঃস্থলে লাগিল। সে তীরে প্রাণনাশ নিশ্চয় সম্ভব, কিন্তু ব্রাহ্মণের কুক্তির নীচে লৌহ-বৰ্ম্মে লাগিয়া তীর পড়িয়া গেল । তৎপরেই একটি বর্শা। বর্শার আঘাতে ব্ৰাহ্মণ ভূমিতে পতিত হুইলেন, কিন্তু সে দুর্ভেদ্য বৰ্ম্ম ভিন্ন হইল না, মহাদেও পুনরায উঠিলেন। সম্মুখে দেখিলেন, নিস্কোষিত অসিহস্তে এক জন দীর্ঘ মোগল বোদ্ধা,—তিনি চাদ খা ! অদ্য সভাতে সেনাপতি সাম্নেস্তা ৰ চাদ থাকে তীরু বলিয়াছেন। বুদ্ধ ব্যবসায়ে চাদ খাঁর কেশ শুক্ল হইয়াছিল, এ অপবাদ কেহ তাহাকে কখনও দেয় নাই । মনে মৰ্ম্মাস্তিক বেদন পাইয়াছিলেন, অন্তকে তাহ কি জানাইবেন, মনে মনে স্থির করিলেন, কাৰ্য দ্বারা এ অপবাদ দূর করিব, নচেৎ এই যুদ্ধেই এই অকিঞ্চিৎকর প্রাণ ত্যাগ করিব ।