পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆ Ե মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত ব্রাহ্মণের আচরণ দেখিয় তাহার সন্দেহ হইয়াছিল, তিনি শিবাজীকে বিশেষ করিয়া জানিতেন, শিবঞ্জীর অসাধারণ ক্ষমতা, তাহার বহুসংখ্যক দুর্গ, তাছার অপূৰ্ব্ব ও দ্রুতগামী অশ্বারোহী সেন, তাহার চিদুধৰ্ম্মে আস্থা, হিন্দুরাজ্যস্থাপনে অভিলাষ, হিন্দুস্বাধীনতাস্থাপনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, এ সমস্ত চাদ গার অগোচর ছিল না । মোগলদিগের সহিত যুদ্ধপ্রারস্তেই যে শিবজী পরাজয় স্বীকার ও সন্ধি যাচঞা করিবেন, এরূপ সম্ভব নহে, তথাপি এ ব্রাহ্মণ শিবাজীর নিদর্শনপত্র দেখাইয়াছে ! এ ব্রাহ্মণ কে ? ইহার গুপ্ত অভিসন্ধিই বা কি ? ব্রাহ্মণের কথাগুলিতেও চাদ খাঁর সন্দেহ জন্মিয়াছিল, মঙ্গরাষ্ট্রীয়দিগের নিন্দা শুনিয়া যখন ব্রাহ্মণের নয়ন প্রজ্বলিত হয়, তাছাও তিনি দেখিয়াছিলেন । এ সমস্ত সন্দেহের কথা সায়েস্তা থার নিকট বলেন নাই, সত্য বলিয়। কেন আলবার তিরস্কার শুনিবেন ? কিন্তু মনে মনে স্থির করিলেন, এই ভণ্ড দূতকে ধরিব। সেই অবধি দূতের পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছিলেন। পথে পথে, গলিতে গলিতে অদৃশুভাবে অনুসরণ করিয়াছিলেন । মুহূর্তের জন্তও ব্রাহ্মণ চাদ খাঁর নয়ন-বহির্ভূত হইতে পারেন নাই । সেনার সহিত ব্রাহ্মণের যে কথা হয়, তাহ শুনিলেন। তীক্ষুবুদ্ধি যোদ্ধা তখনই সমস্ত বুঝিতে পারিলেন, এই দূতকে বিনাশ করিয়া সেনাকে সেনাপতিসদনে লইয়া যাইয়া প্রতিপত্তিলাভের সঙ্কল্প করিলেন। মনে মনে ভাবিলেন,—সায়েস্তা র্গ ! যুদ্ধব্যবসায়ে বৃথা এ কেশ শুক্ল করি নাই, আমি ভীরুও নছি, দিল্লীশ্বরের বিরুদ্ধাচারীও নহি ; অস্ত যে ষড়যন্ত্রটি ধরিয়া প্রকাশ করিয়া দিব, তাহার পর ৰোধ হয়, এ প্রাচীন দাসের কথা তুমি অবহেলা করিবে না। কিন্তু অাশা মায়াবিনী । মহাদেওজী ভূমি হইতে উঠিতে না উঠিতে চাদ যঁ। তীর ও বর্শা ব্যর্থ