পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত & o চারি কথা শুনাইঙ্গা দিলেন। মল্পজী সরে(যে একটি গ্রামে চলিয়া গেলেন ও প্রকাশ করিলেন যে, ভবানী সাক্ষাৎ অবতীর্ণ হইয় তাহাকে বিপুল অর্থ দিয়াছেন। মহারাষ্ট্রীয়দিগের মধ্যে জনশ্রুতি আছে যে, ভবানী এই সময়ে মল্লজীকে বলিয়াছেন,—মল্লঙ্গী ! তোমার বংশে এক জন রাজা হইবেন, তিনি শস্তুর ন্তায় গুণান্বিত হইবেন, মহারাষ্ট্র দেশে ন্যায়বিচার পুনঃস্থাপন করিলেন, এবং ব্রাহ্মণ ও দে বালয়ের শত্রুদিগকে দূরীভূত করিবেন। তাহার সময় হইতে কালগণনা হইলে ও সস্তানসন্ততি সপ্তবিংশ পুরুষ পৰ্য্যন্ত সিংহাসনারূঢ় থাকিবেন। সে যাহা হউক, মল্লদ্বী যে এই সময়ে বিপুল অর্থ পাইয়াছিলেন, তাহার সন্দেহ নাই ! সেই অর্থেব দ্বার: আম্মুেন্নতির চেষ্টা করিলেশ ও এ বিষয়ে তাহার ঝালক যোগপ!লও ভাষ্ঠীকে বিশেষ সহায়তা করিয়াছিলেন । অচিরে মল্পঞ্জী আহম্মদনগরেপ সুলতানের অধীনে পঞ্চ সহস্ৰ অশ্বারোহীর সেনাপতি হইলেম ও রাজা খেতাপ প্রাপ্ত হইয়া স্ববণী ও চাকনদুর্গ এবং তৎপাশ্বস্থ দেশের ভার প্রাপ্ত হইলেন । তিনি জায়গীরস্বরূপ গুলা ও সোপানগর পাইলেন। তখন আর যাদবরাওয়ের কোন আপত্তি রছিল না । ১৬০৪ খৃঃ আন্দে মহাসমারোহে শাহজীর সহিত জীজীর ৰিৰাছ ছইল, আহম্মদনগরের সুলতান স্বয়ং সেই বিবাহে উপস্থিত ছিলেন । তখন শাহজীর বয়ঃক্রম ১০ বৎসর মাত্র । কালক্রমে মল্লঞ্জীর মৃত্যুর পর শাহজী পৈতৃক জায়গীর ও পদ প্রাপ্ত হইলেন। এই সময়ে দিল্লীশ্বর আকবরশাহ আহম্মদনগর রাজ্য দিল্লীর অধীনে অনিবার জগু যুদ্ধ করিতেছিলেন । আকবরশাহ কতক পরিমাণে জয়লাভ করিলেন, এবং তfহার মৃত্যুর পর সম্রাট জাহাঙ্গীরও সেই উদ্যমে ব্যাপৃত রছিলেন। এই যুদ্ধকালে শাহী স্বৰুপ্ত ছিলেন না। ১৬২০ খুঃ অব্দে ( জাহাঙ্গীরের শাসনকালে ) তিনি আছন্মদনগরের প্রধান