পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总之 মহারাষ্ট্র জীৰন-প্রভাত সেনাপতি মালীক অম্বরের অধীনে ছিলেন, ও একটি মহাযুদ্ধে আপন সাহস ও বিক্রম প্রকাশ করিয়া সকলেরই সম্মানভাজন হইয়াছিলেন। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর সম্রাট শাহজিহান সেনাপতি শাহজীকে পঞ্চ সহস্ৰ অশ্বারোহীর সেনাপতি করিয়া অনেক জায়গীর দান করেন। কিন্তু সম্রাট্রদিগের অদ্যকার অনুগ্রহ কাল থাকে না ; তিন বৎসর পর সম্রাটু শাস্ত জীর কতকগুলি জায়গীর কড়িয়া লইলেন। শাহজী বিরক্ত হইয়া বিজয়পুরে স্বলতানের পক্ষ অবলম্বন করিলেন, ও মৃত্যু পৰ্য্যস্ত বিজয়পুরের সুলতানের অধীনে কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন। পতনোলুপ আহম্মদনগর রাজ্যের স্বাধীনতার জন্যও শাহজী দিল্লীর সেনার সহিত অনেক যুদ্ধ করিলেন। সুলতান শক্রহস্তে পতিত হইলে শাছজী সেই বংশের আর একজনকে মুলতান করিয়া সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিলেন, কতকগুলি বিজ্ঞ ব্রাহ্মণের সাহায্যে দেশশাসনের সুন্দর রীতি স্থাপন করিলেন, বহুসংখ্যক দুর্গ হস্তগত করিলেন, ও স্বলতানের নামে সেনা সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন। সম্রাট শাহজিহান এই সমস্ত দেপিয়া ক্রুদ্ধ হইয়া শাহজী ও তাহার পুত্র বিজয়পুরের মুলতানকে দমন করিবার জন্ত বহুসংখ্যক অশ্বারোহী ও পদাতিক প্রেরণ করিলেন । দিল্লীশ্বরের সহিত যুদ্ধ করা বিজয়পুরের মুলতান বা শাহজীর সাধ্য নহে ; কয়েক বৎসর যুদ্ধের পর সন্ধিস্থাপন হইল ; আহম্মদনগর রাজ্য বিলুপ্ত হইল ( ১৬৩৭ )। শাহজী বিজয়পুরের অধীনে জায়গীরদার ও সেনাপতি রহিলেন, এবং সুলতানের আদেশানুসারে কর্ণাট দেশের অনেক অংশ জয় করিলেন । সুতরাং বিজয়পুরের উত্তরে পুনার নিকট র্তাহার যেরূপ জায়গীর ছিল, দক্ষিণ কর্ণাট দেশেও সেইরূপ বহু জায়গীর প্রাপ্ত হইলেন। জীজীবাঈয়ের গর্ভে শভূজী ও শিবাজী নামে দুই পুত্র হয়। পূৰ্ব্বেই