পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রত্যত করিলেন। এইরূপ ৰ্যায়াম ও যুদ্ধশিক্ষায় বালকের দেহ শীঘ্রই স্বধৃঢ় ও বলবান হইয়া উঠিল। কিন্তু কেৰল অস্ত্রবিদ্যায় শিবাজী কাল অতিবাহিত করিতেন না, যখন অবসর পাইতেন, দাদাজীর চরণোপাস্তে বসিয়া মহাভারত ও রামায়ণের অনন্ত বীরত্ব গল্প শ্রবণ করিতে বড়ই ভালবাসিতেন । শুনিতে শুনিতে বালকের হৃদয়ে সাহসের উদ্রেক হইত, হিন্দুধৰ্ম্মে আস্থ। দৃঢ়ীভূত হইত, সেই পূৰ্ব্বকালীন বীরদিগের বীরত্ব অনুকরণ করিবার ইচ্ছা প্রবল হইত, ধৰ্ম্মবিদ্বেষী মুসলমানদিগের প্রতি বিদ্বেষ জন্মিত । এইরূপ কথা শুনিতে শিবজীর এরূপ অrগ্রহ ছিল যে, অনেক বৎসর পর যখন তিনি দেশে খ্যাতি ও রাজ্যলাভ করিলেন, তখন পর্য্যস্ত কোন স্থানে কথা হইবে শুনিলে, বহু পিপদ ও বহু কষ্ট সহ করিয়াও তথায় উপস্থিত হইবার চেষ্টা করিতেন। এইরূপে দাদাজীর যন্ত্রে শিবাজী অল্প কালমধ্যেই স্বধৰ্ম্মীনুরক্ত ও অতিশয় মুসলমানবিদ্বেষী হইয়া উঠিলেন । তিনি ষোড়শ বর্ষ বয়ঃক্রমে স্বাধীন পলীগীর হইবার জন্ত নানারূপ সঙ্কল্প করিতে লাগিলেন আপনার স্তার উৎসাহী যুবকদিগকে চারিদিকে জড় করিতে লাগিলেন। তিনি পৰ্ব্বতপরিপূর্ণ কঙ্কণদেশে তাহাদিগের সহিত সৰ্ব্বদাই যাতায়াত করিতেন। সেই পৰ্ব্বত কিরূপে উন্নতঘন করা যায়, কোথায় পথ জাছে, কোন পথে কোন স্কুর্গে যাওয়া যায়, কোন কোন দুর্গ অতিশয় দুর্গম, কিরূপে দুর্গ আক্রমণ বা রক্ষা করা যায়, এ সকল চিস্তায় বালকের দিন অতিবাহিত হইত। কখন কখন কয়েক দিন ক্রমাগত এই পৰ্ব্বত ও উপত্যকার মধ্যে যাপন করিতেন, কোনও দুর্গ, কোনও পথ, কোনও উপত্যক শিবঞ্জীর অজ্ঞাত ছিল না । শেষে বিরূপে দুই একটি দুর্গ হস্তগত করিবেন, এই চিন্তা করিতে লাগিলেন।