পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত & or বালকের এইরূপ কথা শুনিয়া ও আচরণ দেখিয়া বৃদ্ধ দাদাজী ভীত হইতে লাগিলেন। তিনি অনেক প্রবোধবাক্য দ্বারা বালককে সে পথ হইতে আনয়ন করিয়া, যাহাতে জায়গীর স্বচারুরূপে রক্ষিত হয়, তাহাই শিখাইবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু শিবাজীর হৃদয়ে যে বীরত্বের অঙ্কুর স্থাপিত হইয়াছিল, তাহ। আর উৎপাটিত হইল না । শিবজী দাদাজীকে পিতৃতুল্য সম্মান করিতেন, কিন্তু যে পথে প্ৰবৰ্ত্তিত হুইয়াছিলেন, তাহা পরিত্যাগ করিলেন না। মাউলীজাতীয়দিগের কষ্টসহিষ্ণুতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য শিবঞ্জী তাহাদিগকে বড় ভালবাসিতেন। তাহার যৌবনমুহৃদৃগণের মধ্যে যশজা-কঙ্ক, তন্নজী-মালঐ ও বাজী-ফসলকর নামক তিন জন মাউলীই প্রিয়তম ও অগ্রগণ্য ছিলেন। পরিশেলে ইহাদের সূচায়তায় ১৬০৬ খৃঃ অব্দে তোরণদুর্গের কিল্লাদারকে কোনরূপে বশবৰ্ত্তা করিয়া শিৰঞ্জী সেই দুর্গ হস্তগত করিলেন । এই অtখ্যায়িকার প্রারস্তেই তোপণদুর্গের বর্ণনা করা হইয়াছে, এই প্রথম বিজয়ের সময় শিবঞ্জীর এয়:ক্রম উনবিংশ বর্ষ মাত্র । ইহারই পরবৎসর তোরণ দুর্গের দেড় ক্রোশ দক্ষিণ-পূর্বে একটি তুঙ্গ গিরিশৃঙ্গের উপর শিবঙ্গ একটি নূতন দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া তাহার নাম রাজগড় রাখিলেন । বিজয়পুরের সুলতান এই সমস্ত বিষয়ের সমাচার প্রাপ্ত হইয়। শিৰঞ্জীর পিতা শাহজীকে তিরস্কার করিয়া পাঠাইলেন, ও এষ্ট সমস্ত উপদ্রবের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । বিজয়পুরের বিশ্বগু কৰ্ম্মচারী শাহজী এ সমস্ত বিষয়ের বিন্দুবিসর্গও জণিতেন না, তিনি দাদা গ্রীকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । দাদাজী কানাইদেব শিবাজীকে পুনরায় ডাকাইলেন । এইরূপ আচরণে সৰ্ব্বনাশ হইবার সম্ভাবন, তাহ। অনেক বুঝাইলেন। তাছার পিত। বিজয়পুরের অধীনে কাৰ্য্য করিয়া