পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s W。 মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত কিরূপ বিপুল অর্থ, জায়গীর, ক্ষমতা ও সম্মান লাভ করিয়াছেন, তাহাও বুঝাইলেন। শিবজী পিতৃসদৃশ দাদাজীকে আর কি বলিবেন, মিষ্টবাক্য দ্বারা উত্তর দান করিলেন, কিন্তু আপল কার্য্যে নিরস্ত হইলেন না। ইহার কিছু দিন পরেই দাদাজীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর প্রাক্কালেই দাদাঞ্জ শিবপ্লকে আর একবার ডাকাইয়া নিকটে আলেন । বুদ্ধ পুনরায় ভৎসনা করিবেন, এই বিবেচনা করিয়া শিবাজী তথায় যাইলেন, কিন্তু ধাহ! শুনিলেন, তাহাতে বিক্ষিত হইলেন। মৃত্যুশয্যায় যেন দাদাঞ্জার দিব্যচক্ষু উন্মীলিত হইল। তিনি শিবাজীকে সস্নেহে বলিলেন,—বৎস, তুমি যে চেষ্টা করিতেছ, তাহা হইতে মহত্তর চেষ্টা আর লাই। এই উন্নত পথ অনুসরণ কর, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা কর । ব্রাহ্মণ, গোবৎসাদি এবং কৃষকগণকে রক্ষা কর, দেবালয় কলুষিতকণরীদিগকে শাস্তি প্রদান কর, ঈশানী যে উন্নত পথ তোমাকে দেখাইয়া দিয়াছেন, সেই পথ অনুসরণ কর। এই বলিয়া বৃদ্ধ চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হইলেন । শিবজীর হৃদয় এই দিব্য উপদেশ পাইয়া উৎসাহ ও সাহসে দশ গুণ স্ফীত হইয়। উঠিল । তখন শিবঞ্জীর বয়ঃক্রম বিংশ বর্ষ মাত্র। সেই বৎসরেই চাকন ও কান্দানা দুর্গের কিল্লাদারগণকে অর্থে বশীভূত করিয়া শিবাজী উভয় দুর্গ হস্তগত করেন, ও কান্দানার নাম পরিবত্তিত করিয়া সিংহগড় নাম রাখেন। আখ্যায়িকায় চাকন ও সিংহগড়ের কথা পূৰ্ব্বেই লিখিত হইয়াছে। শিবজীর বিমাতা টুক'বাঈয়ের ভ্রাত বাজ সোপা দুর্গের ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। একদিন দ্বিপ্রহর রজনীতে আপন মাউলী সৈন্ত লইয়া শিৰঞ্জী এই দুর্গ সহসা আক্রমণ করিয়া হস্তগত করেন । মাতুলের প্রতি কোনও অত্যাচার না করিয়া তাহাকে কর্ণাটে পিতার নিকট পঠাইয়া দেন। তৎপরে