পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত স্বীকার করিলেন ; পরামর্শ স্থির হইল যে, কাৰ্য্যসিদ্ধির জন্ত আবুল ফাজেলের সহিত শিবাজীর কোন স্থানে সাক্ষাৎ কর! আবখ্যক । কয়েক দিন পর প্রতাপগড় দুর্গের নিকটেই সাক্ষাৎ হইল। আৰুল ফাজেলের পঞ্চদশ শত সেন; দুর্গ হইতে কিঞ্চিৎ দূরে রহিল, তিনি স্বয়ং একমাত্র সহচরের সহিত শিবিকারোহণে নির্দিষ্ট গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। শিবাজী সেই দিন বহু যত্নে প্রাতে স্নানপুজাদি সমাপন করিলেন ; স্নেহময়ী মাতার চরণে মস্তক স্থাপন করিঘা তাহার আশীৰ্ব্বাদ যাচ এণ করিলেন ; তুলার কুৰ্ত্তি ও উদীনের শীsে লৌহ বৰ্ম্ম ও শিরস্ত্ৰাণ ধারণ করিলেন ; অবশেষে শিবাজী দুর্গ হইতে অবতীর্ণ হইয়া ও বাল্যলহচর তল্লঞ্জী-মালহীকে সঙ্গে লইয়া আবুল ফাজেলের নিকটে আসিলেন। সহস্ৰ অলিঙ্গনচ্ছলে তীক্ষ ছুরিকা দ্বারা মুসলমানকে ভূতলশায়ী করিলেন । তৎক্ষণাৎ শিধর্জার সেনা আবুল ফাজেলের সেনাকে পরাস্ত করিল, এবং শিবঙ্গ অনেক দুর্গ হস্তগত করিয়া বিজয়পুরের দ্বার পর্য্যস্ত যাইয়া দেশ লুণ্ঠন করিয়া অপিপেস । বিজয়পুরের সহিত যুদ্ধ আরও তিন বৎসর পর্যন্ত চলিতে লাগিল, কিন্তু কোন পক্ষই বিশেষ জয়লাভ করিতে পারিল মা । অবশেষে ১৬৬২ খৃঃ অব্দে শাহজী মধ্যবৰ্ত্তী হইয়া বিজয়পুর ও শিবঙ্গার মধ্যে সন্ধি সংস্থাপন করিয়া দিলেন। শাহজী ধখল শিশ্বজীকে দেখিতে আসিলেন, শিবজী , পিতৃভক্তির পর কাপ্ত। প্রদর্শন করিয়াছিলেন । আপনি অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া পিতাকে রাজার তুল্য অভিবাদন করিলেন, পিতার শিবিকীর সঙ্গে সঙ্গে পদব্রজে চলিলেন ও পিতা বসিতে আদেশ করিলেও তিনি পিতার সম্মুখে আসন গ্রহণ করিলেন না। কয়েক দিন পুত্রের নিকট থাকিয়া শাহজী পরম তুষ্ট হইয়া বিজয়পুরে যাইলেন ও সন্ধি সংস্থাপন করিয়া দিলেন । শিৰ জী