পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত্ত حياتها ছওনাবধি তিনিই পদাতিক লৈন্তের সরনেীবৎ অর্থাৎ সেনাধ্যক্ষ ছিলেন। যুদ্ধকালে সাহসী, বিপদকালে স্থির ও অবিচলিত, পরামর্শে বুদ্ধিমান ও দূরদর্শী, মুরেশ্বর অপেক্ষা কাৰ্য্যদক্ষ কৰ্ম্মচারী ও প্রকৃত বন্ধু শিবাজীর আর কেহ ছিল না । আবাদী স্বর্ণদেব নামে তথায় দ্বিতীয় এক জন দূরদর্শী ও যুদ্ধপটু ব্ৰাহ্মণ ছিলেন । র্তাহার প্রকৃত লাম নীলপন্ত স্বর্ণদেব, কিন্তু আব:জী নামেই তিনি খ্যাত ছিলেন । তিনিই ১৬৪৮ খৃ: অব্দে কল্যাণদুর্গ ও সমস্ত কল্যাণী প্রদেশ হস্তগত করেন এবং সম্প্রতি রায়গড়ের প্রসিদ্ধ দুর্গ নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ করিয়াছিলেন । প্রসিদ্ধনাম অন্নজীদত্ত ও অদ্য সিংহগড়ে উপস্থিত ছিলেন । চারি বৎসর পূৰ্ব্বে তিমি পৰমগড় হস্তগত করেন, এবং শিধজীর কৰ্ম্মচারীর মধ্যে একজন প্রধাণ ও অতিশয় কাৰ্য্যদক্ষ ছিলেন । অশ্বারোহীর সরনেীবৎ অর্থাৎ সেনাপতি নিতাইজী সিংহগড়ে ছিলেন না ; তিনি কিরূপে মোগলসৈন্তের সম্মুখ দিয়া যাইয়া আরঙ্গাবাদ ও আহম্মদনগর ছারখ:র করিয়া আসিয়াছিলেন, তাছা আমরা লায়েস্তা পাবু সভায় চাদ খার প্রমুখা শুনিয়াছি। সিংহগড়ে সে সময়ে কেবল অল্পসংখ্যক আশ্বারোহী সেন: কৰ্ত্তাজী গুজ্জর নামক এক জন নীচস্থ সেনানীর অধীনে অবস্থিতি করিতেছিল । পূর্ব অধ্যায়ে শিৰঞ্জীর তিন জন প্রধান মাউলী বাল্য-মুহৃদের নাম উল্লেখ করা হইয়াছে। তন্মধ্যে বাজী ফাললকরের তিন বৎসর পুর্বেই মৃত্যু হইয়াছিল। তরঙ্গী-মাল শ্ৰী ও যশজী-কঙ্ক অদ্য সিংহগডে উপস্থিত ছিলেন । বাল্যকালের সৌহার্দ্য, যৌবনের বিষম সাহস, ইহার এখনও ভুলেন নাই। ইহারা শিবাজীকে প্রাণসম ভালবাসিতেন, শতৰাব রজনীবোগে মাউলী সৈন্ত লইয়া শিবঙ্গীর সহিত