পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত Ա, Հ শিৰঞ্জীর সম্মুখে অtসিয়ু। শির নামাইল। শিবাজী গছকে চিনিলেন, জিজ্ঞাসা করলেন,—রঘুনাথজী হাবিলদার । এ সময়ে তোমার কি প্রার্থনা ? রঘুনাথ । প্রভূ, যে দিন তোরণ-দুৰ্গ চইলে পত্র দি অণিয়ছিলাম, লে দিন প্রসন্ন হুইয়। পুরস্কার অঙ্গীকার করিয়াছিলেন । শিবাজী। অদ্য এই উৎকট ব্যাপারের প্রারম্ভে কি পুরস্কার চাহিতে আলিয়াছ ? রঘুনাথ। এই পুরস্কার চাই যে, ঐ উৎকট ব্যাপারে আমাকে যাইতে দিন । যে পঞ্চবিংশ মাউলী যোদ্ধার সহিত পুনানগরে প্রবেশ করিবেন, দাসকে তাহীদের সহিত যাইতে আদেশ করুন । শিবাজী । রাজপুতবtলক ! কেন ইচ্ছাপূর্বক এ সঙ্কটে আশিতেছ ? অল্পবয়গে কেন প্রাণ ছায়াইতে উৎক্ষক হইয়াছ ? রঘুনাথ । রাজন! আপনার সঙ্গে খাইলে প্রাণ হারাইব, এরূপ আশঙ্কা করি না। যদি হরাই, আমার জন্ত আক্ষেপ করিধে, জগতে এরূপ কেহই নাই । আর যদি প্রভুকে কাৰ্য্য দ্বারা সস্তুষ্ট করিতে পারি, জীবিত থাকিয়া প্রত্যাগমন করিতে পারি, তবে,—তবে তবিধাতে অামার মঙ্গল । রঘুনাথের সেই কৃষ্ণ কেশগুচ্ছগুলি ভ্রমরৰিণিদিত নয়নের উপর পড়িয়াছে, বালকের সরল উদার মুখমণ্ডলে যোদ্ধার স্থিল প্রতিজ্ঞ বিরাজ করিতেছে। অল্পবয়স্ক যোদ্ধার এইরূপ কথা শুনিয়া ও উদার মূপমণ্ডল দেখিয়া শিবাজী সন্তুষ্ট হইলেণ, ও সঙ্গে পুনার ভিতর যাইতে অমুমতি দিলেন। রঘুনাথ আবার শির নত করিয়া পরে লম্ফ দিয়া অশ্বে স্বারোহণ করিলেন । লিংহুগড় হইতে পুনা পৰ্য্যন্ত সমস্ত পথে শিৰঞ্জী নিজ সৈন্য