পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত পলায়নার্থে এক দ্বারে আসিলেন, দেখিলেন, বৰ্ম্মধারী মহারাষ্ট্রীয় যোদ্ধা ! অন্ত দ্বারে আলিলেন, তাই দেখিলেন । সভয়ে সমস্ত দ্বার রুদ্ধ করিলেন, গবাক্ষ দিয়া পলাইবার উপক্রম করিতেছিলেন, এমত সময়ে শুনিলেন, “হর হর মহাদেও” বলিয়া মহারাষ্ট্রীয়গণ পাশেঁর গৃহ পরিপূর্ণ করিল। তখন রাজপুরী আক্রান্ত হইয়াছে বলিয়। চারিদিকে গোল হইল । প্রাসাদের রক্ষকগণ সহসা আক্রাস্ত হইয়। হতজ্ঞান হইয়াছিল, অনেকেই হত ও আহত হইয়াছিল। তথাপি অবশিষ্ট লোক প্রভুর রক্ষাৰ দৌড়িয়া আসিল ও সেই পঞ্চবিংশ জন মাউলীকে চারিদিকে বেষ্টন করিল। শীঘ্রই ভীষণরবে সেই প্রাসাদ পরিপূরিত হইল। প্রাসাদের দীপ নিৰ্ব্বাণ হইয়াছে, অন্ধকারে মাউলীগণ চীৎকার করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিল, অন্ধকারে হিন্দু ও মুসলমান যুদ্ধ করিতেছে। কবীটের ঝনঝন শব্দ, আক্রমণকারীদিগের মুহম্মুহুঃ উল্লাসরব, এবং আক্রাস্ত ও আহুতদিগের আর্বনাদে প্রাসাদ পরিপূরিত হইল। সেই সময়ে শিবাজী বর্ণহস্তে লম্ফ দিয়া যোদ্ধাদিগের মধ্যে পড়িলেন, “হর ছর মহাদেও” বলিয়। চীৎকার করিয়া উঠিলেন। মাউলীগণ সঙ্গে সঙ্গে হুঙ্কার করিয়া উঠিল, মোগল প্রহরিগণ পলায়ণ করিল, অথবা সমস্ত ইত ও আহত হইল। শিবজী ভীষণ বশাখাতে দ্বার ভগ্ন করিয়া সায়েন্ত থার শয়নধরে আলিয়া পড়িলেন । সেনাপতি রক্ষার্থে তৎক্ষণাৎ কয়েক জন মোগল সেই ঘরে ধাৰমান হইল। শিবাজী দেখিলেন, সম্মুখে মৃত চাদ খার বিক্রমশালী পুল শম্শের খাঁ ! পিতা অপমানিত হইয়। প্রাণ হারাইয়াছে, তথাপি পুত্র সেই প্রভুর জন্ত প্রাণ দিতে প্রস্তুত ও অগ্রগণ্য। শিৰঞ্জী এক মুহূৰ্ত্ত দওtধমান হইলেন, কোষে খড়গ রাখিয়া ৰলিলেন,—যুবক, তোমার