পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պb মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত কাণে কাণে বলিয়া দিত—বোধ হয়, একদিন সেই তরুণ যোদ্ধ। তোরণ-দুর্গে ফিরিয়া আলিবেন। নিশীথে যখন সেই উন্নত দুর্গ ও চারিদিকে পর্বতমালা চন্দ্রের মৃধাকিরণে নিস্তন্ধে সুপ্ত হইত, তখন নীল আকাশও শুভ্র চন্দ্রের দিকে চাহিতে চাহিতে ৰালিকার হৃদয়ে কত কল্পণা উদয় হইত, কে বলিবে ? বোধ হুইত যেন, সেই পৰ্ব্বত-পথ দিয়া একজন নবীন অশ্বারোহী আসিতেছেন। অশ্ব শ্বেতবর্ণ, আরোহীর গুচ্ছ গুচ্ছ কেশ, ললাট ও নয়ন ঈষৎ আবৃত করিয়াছে। যেন দুর্গে আসিয়া অশ্বারোহী অবতরণ করিলেন, যেন তঁহীর মস্তকে সুবর্ণখচিত শিরস্ত্রাণ, বলিষ্ঠ স্বগোল বাহুতে মুবর্ণের ৰাজু, দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘ বর্শ । যেন যোদ্ধা আবার আহার করিতে বপিলেন, সরযু তাহাকে ভোজন করাইতেছেন। অথবা রজনীতে সেই ছাদে সংযু সেই যোদ্ধার নিকট সলজ্জ হইয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, যোদ্ধা ও যেন আনন্দের সহিত সরযুর নিকট যুদ্ধকথা বর্ণনা করিতেছেন। কল্পনার শেষ নাই, অগাধ সমুদ্রহিল্লোলের দ্যায় একটির পর আর একটি আইসে, তাছার পর আর একটি। সরযু আবার ভাবিলেন, যেন যুদ্ধ ছইয়া গিয়াছে, তরুণ সেনাপতি বহু খ্যাতিলাভ করিয়াছেন, বড় উপাধি পাইয়াছেন, কিন্তু সরযুকে ভুলেন নাই। যেন পিতা তাহার সহিত সরযুর বিবাহ দিতে সন্মত হইলেন, যেন ঘর লোকে পরিপূর্ণ, চারিদিকে দীপ জলিতেছে, বাদ্য বাজিতেছে, গীত হইতেছে, আর কত কি হইতেছে সরযু জানেন না, ভাল দেখিতে পাইতেছেন না। যেন সরযু আৰ গুণ্ঠনৰতী হইয়া সেই দেব-প্রতিমূৰ্ত্তির নিকট বসিলেন, যেন যুবকের হস্তে আপন স্বেদাক্ত কম্পিত হস্তটি রাখিলেন, যেন রজনীতে সেই জীবিতেশ্বরকে পাইলেন। আনন্দে বালিকান্ধদয় স্ফীত হইল। সরযু ! সরযু পাগলিনী হইও না!