পাতা:মহারাষ্ট্রের জীবন-প্রভাত.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত Եվ: চক্ষুতে গোপন থাকে না । সরযু শিবিকার ভিতর হইতে সেই অবিশ্রাস্ত অশ্বারোহীকে দেখিতেন, নিশীথে সেই অনিদ্র যোদ্ধাকে দেখিতেন। সেই দেব বনিন্দিত আকৃতি দেখিতে দেখিতে সরযুর নয়ন ঝলসিত হইল, সেই দুৰ্দ্দমনীয় আগ্রহ-চিহ্ন দেখিয়া সরযুর হৃদয় আনন্দ, প্রেম ও উদ্বেগে প্লাবিত হইল । সন্ধ্যার সময় যখন সরযু সেই যোদ্ধাকে ভোজন করাইতে আলিতেন, মৌনাবলম্বী যোদ্ধার দর্শনে সরযু অবনতমুখী হইতেন, ভাল করিয়া আহার করাইতে পারিতেন না। প্রাতঃকালে শিবিকায় আরোহণের সময় যখন সরযু সেই যোদ্ধাকে অশ্বপুষ্ঠে উপবিষ্ট দেখিতেন, তাহার মান মুখমণ্ডল হইতে সরযু সহজে শয়ন ফিরাইতে পারিতেন না । কয়েক দিন এইরূপে ভ্রমণামস্তর সকলে রাজগড়ে উপস্থিত হইলেন । জনাৰ্দ্দন সন্ধ্যার সময় দুর্গের নীচে একটি গ্রামে উপস্থিত হইয়া মহারাষ্ট্রীয়রাঞ্জের নিকট সমাচার পাঠাইলেন, রাজার অনুমতি হইলে পরদি বল দুর্গে প্রবেশ করিবেন। সেই দিন রজণীতে আহারাদি প্রস্তুত করিতে কিছু বিলম্ব হইল। জনাৰ্দ্দন কিছু জলযোগ করিয়া শয়ন করিতে ধাইলেন, রাত্রি এক প্রহরের সময় সরযূবালা রঘুনাথকে তোঞ্জণ করাইলেন। ভোজনাস্তে রঘুনাথ অন্তদিনের স্থায় গৃহ হইতে বহিস্কৃত হইপেম না, ক্ষণেক ইতস্তত: করিতে লাগিলেন । অনেকক্ষণ পর যেখানে সরযু একাকী বসিয়াছিলেন, তথায় ধীরে ধীরে যাইয়। ম ৩শিরে দণ্ডায়মান হইলেন । হৃদয়ের উদ্বেগ দমন করিয়া স্থির স্বরে কছিলেন,— দেবি, এক্ষণে আমাকে বিদায় দিন । রঘুনাথের উচ্চারিত এই কথা গুলি যেন চুধিতের পক্ষে বারিধারার